রাজ্য জুড়ে প্রতিরোধ সংকল্প অভিযান কর্মসূচি ঘিরে গত বৃহস্পতিবারই দিঘা, বাজকুল সহ একাধিক জায়গায় বিজেপি সমর্থকদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের গণ্ডগোলের খবর পাওয়া গিয়েছিল। পুলিশ তাঁদের পথ আটকালে পুলিশের সঙ্গেও ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। বাজকুলে পুলিশকে লাঠিচার্জও করতে দেখা যায়। শুক্রবার জেলা ছেড়ে শহর কলকাতায় সেই আঁচ এসে আছড়ে পড়ল। বিজেপির বাইক মিছিল ঘিরে পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিট, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউতে উত্তেজনা ছড়ায়। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। অবস্থা সামাল দিতে হিমসিম খেতে হয় পুলিশকে। এরপরই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বিজেপির বাইক মিছিলের কর্মসূচি বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেন। তাঁর দাবি, রাজ্যের এই প্রশাসনিক পরিস্থিতিতে এমন কর্মসূচি করার অবস্থা নেই। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই বলেও দাবি করেন তিনি। এ নিয়ে এদিন রাজ্যপালের সঙ্গেও দেখা করছেন দিলীপবাবু। রাজ্যপালের কাছে যাবতীয় অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া তাঁদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিকেল ৩টে থেকে ময়দানে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্না অনশনও শুরু করে বিজেপি। নেতৃত্ব দেন দিলীপ ঘোষ। মুখে কালো কাপড় বেঁধে প্রতিবাদে সামিল হন তাঁরা।
এদিকে বিজেপির বাইক মিছিলে পর্যবেক্ষক হিসাবে হাইকোর্টের তরফে যে অফিসারকে নিয়োগ করা হয়েছিল, তাঁর গাড়িতে এদিন ভাঙচুর হয়। সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ে তাঁর গাড়ির ওপর বেশ কয়েকজন লাঠি হাতে দুষ্কৃতী হামলা চালায় বলে অভিযোগ। গাড়ির উইন্ডস্ক্রিন ভেঙে দেওয়া হয়। এরপরে পুরো ঘটনা আদালতের নজরে আনেন বিজেপির আইনজীবীরা। আদালতের তরফে এদিন বিজেপির বাইক মিছিল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আগামী শনিবার বিজেপির বাইক মিছিলের রোড ম্যাপ চেয়েছে আদালত।