বন্ধ সফল হয়েছে। মানুষ তা সফল করেছেন। তাঁরা নৈতিকভাবে বন্ধের বিরোধী হলেও বাধ্য হয়েই তাঁদের বন্ধ ডাকতে হয়েছে। এদিন স্কুল খোলা থাকলেও সেখানে ছাত্রছাত্রী ছিল না। বাস চললেও তাতে যাত্রী ছিলেননা। সরকারি অফিসে রাতে জোর করে কর্মীদের রেখে দিয়ে তাঁদের দিয়ে পিকনিক করিয়েছে সরকার। এদিন বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে এমনই দাবি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে দিলীপবাবু ওখান থেকেই ঘোষণা করেন তাঁদের বন্ধ ছিল প্রতীকী। তা সফল হয়েছে। তাই ২ ঘণ্টা আগেই বন্ধ প্রত্যাহার করছেন তাঁরা।
দিলীপবাবুর দাবি, এদিন পুলিশ ও তৃণমূলকর্মীরা বন্ধ সমর্থকদের ওপর চড়াও হয়ে মারধর করেছেন। রাজ্য জুড়ে ২ হাজারের ওপর বিজেপিকর্মীকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ বাড়িতে ঢুকে মেরেছে। রেল অবরোধের কোনও নির্দেশ না থাকলেও কোথাও কোথাও বন্ধ সমর্থকেরা অতি উৎসাহে রেল অবরোধ করেছেন বলে মেনে নেন দিলীপবাবু। অন্যদিকে কলকাতায় যে বাস জ্বালানো হয়েছে তা পাল্টা তৃণমূলের ঘাড়েই চাপিয়েছেন তিনি। তৃণমূলই বাস জ্বালিয়ে তাঁদের ওপর দোষ চাপাচ্ছে বলে দাবি দিলীপবাবুর। এদিন দোকানপাট জোর করে বন্ধ করানোর চেষ্টা নিয়েও কর্মীদের অতিউৎসাহকে সামনে এনেছেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতালির মিলানে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমকে জানান, বন্ধ সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। মানুষ বন্ধের বিরোধিতা করেছেন। পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘বকধার্মিক’ বলে কটাক্ষ করেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি তৃণমূল এ রাজ্যে বন্ধে রেকর্ড গড়েছে। এখন তারাই বন্ধের বিরোধিতা করছে। দিলীপবাবুর দাবি, তৃণমূল এ রাজ্যে যত বন্ধ করেছে, তত বন্ধ সিপিএমও করেনি।