গত শুক্রবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ ঘোষণা করেন দেশ জুড়ে শুরু হবে বিজেপির বিজয় সংকল্প যাত্রা। অমিত শাহর সেই নির্দেশ মেনে রবিবার সকালে রাজ্যের কোণায় কোণায় বাইক মিছিল বার করে বিজেপি। কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলায় বাইক মিছিল বার হয়। অনেক জায়গায় তাদের পথ আটকায় পুলিশ। পুলিশের দাবি প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র ছাড়াই এই বাইক ব়্যালি বার হওয়ায় তারা পথ আটকায়।
কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির বাইক মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে কিছুটা বচসাও হয় বিজেপি কর্মীদের। কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বোর্ডের পরীক্ষা থাকায় ও ট্রাফিক জনিত কারণে এসব মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবু সেই মিছিল বার করে বিজেপি। কাঁকুড়গাছি থেকে বার হওয়া একটি মিছিল ক্যানাল ইস্ট রোডে আটকে দেয় পুলিশ। সেখানেই অবস্থান শুরু করেন বিজেপিকর্মীরা। অন্যদিকে জোড়াবাগানে বাগবাজারমুখী একটি মিছিল রুখে দেয় পুলিশ। সেখানেও কিছুটা উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। সেন্ট্রাল এভিনিউতেও এমনই একটি মিছিল আটকায় পুলিশ।
রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়ে বিজেপির বাইক মিছিল আটকালে পুলিশের সঙ্গে প্রথমে বচসা ও পরে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপিকর্মীরা। এখানে কয়েকজন পুলিশের ওপর চড়াও হন তাঁরা। পাল্টা পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। লাঠিচার্জের পর ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় বিজেপির বাইক মিছিল। এখানে বেশ কয়েকজন বিজেপিকর্মীকে আটক করে পুলিশ।
একইভাবে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয় আসানসোলে। আসানসোলে মিছিলের পুরোভাগে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। আমরিহা মোড়ের কাছে বিজেপির মিছিলের পথ আটকায় পুলিশ। এরপর বাবুল সুপ্রিয় সেখান থেকে চলে যান। কিন্তু বিজেপিকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। পুলিশ এখানেও লাঠিচার্জ করে। কয়েকজন বিজেপিকর্মীকে আটক করা হয়। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়।
এদিন দুর্গাপুরে বিজেপির মিছিলের উদ্বোধন করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেই মিছিলেরও পথ আটকায় পুলিশ। এখানেও বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়। দিলীপবাবুর দাবি, এদিন গোটা রাজ্য মিলে ১০০টির ওপর মিছিল বার করা হয়। অনেক জায়গাতেই পুলিশ বিজেপিকর্মীদের আটক করে। তবে তাঁরা দমবেন না। এদিন উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, বর্ধমান, মেদিনীপুর সর্বত্রই বিজেপির মিছিল বার হয়।