রামনবমী উপলক্ষে যেমন মিছিল বার হয় তেমনই বার হবে। যদি রাজ্য সরকার সেই মিছিল আটকানোর চেষ্টা করে তবে তার ফল তাদের ভুগতে হবে। যে কোনও এমন পদক্ষেপ করার আগে তারা যেন মনে রাখে যে নির্বাচন চলছে। এদিন কার্যত হুঁশিয়ারির সুরেই একথা জানিয়ে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শনিবার সকাল থেকেই তিনি খড়গপুরে রামনবমীর তোড়জোড় ঘুরে দেখেন। দেখেন প্রস্তুতি কেমন। হাতে তরোয়াল তুলে পুজো দেন। ক্যালেন্ডারে রামনবমী রবিবার। তার আগের দিনই কিন্তু রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মিছিল বার হয়। গত বছর প্রশাসনের তরফে অস্ত্র নিয়ে মিছিল করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ আগেই জানিয়েছিল রামনবমীর দিন তারা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত মিলিয়ে ৭০০টি মিছিল বার করার পরিকল্পনা করেছে। এদিন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পশ্চিমবঙ্গ ইউনিটের মুখপাত্র সৌরিশ মুখোপাধ্যায় জানান, পুরুলিয়া, গড়বেতা সহ বেশ কিছু জায়গায় শনিবারই মিছিল। কলকাতায় রামনবমীর মিছিল হবে রবিবার। কলকাতায় ১২টির বেশি মিছিল হতে পারে। মিছিল হবে বড়বাজার এলাকায়। মিছিল হবে দক্ষিণ কলকাতার বোড়াল এলাকায়। মহামিলন মঠ থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত একটি বাইক মিছিলেরও কথা রয়েছে।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের আশা রবিবার রামনবমী উপলক্ষে রাজ্যের সবচেয়ে বড় মিছিলটি হবে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে। সেখানে দেড় লক্ষ থেকে ২ লক্ষ মানুষ মিছিলে অংশ নেবেন বলে সংগঠনের আশা। পশ্চিম বর্ধমানে রামনবমীর মিছিল হবে ১৫ এপ্রিল, সোমবার। পয়লা বৈশাখের দিন। এদিকে রামনবমী উপলক্ষে মিছিল নিয়ে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল জানিয়েছেন, মিছিলের সময় কোনও ঘটনা ঘটলে রাজ্য প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।