একটি পুলিশের স্টিকার লাগানো গাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কা খেল বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের গাড়ি। ২টি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত হন সামনের সিটে বসে থাকা শান্তনু ঠাকুর। তাঁর মাথায় আঘাত লাগে। এরপরই সেখানে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলে পুলিশের গাড়িতে হামলা হয়। এটিকে নিছক দুর্ঘটনা বলে দেখতে নারাজ রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।
বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের দাবি, পুলিশের গাড়িটিতে কেবলমাত্র চালক ছিলেন। শান্তনু ঠাকুরের গাড়িটি জাগুলিয়া থেকে গাইঘাটা যাওয়ার পথে রাস্তায় পুলিশের গাড়িটির সঙ্গে তার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এটাকে সামান্য দুর্ঘটনা বলতে নারাজ জয়প্রকাশবাবু। তাঁর দাবি, এর পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে। তাঁদের দলের প্রার্থীকে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল। পুলিশের গাড়িটি ওখানে শান্তনু ঠাকুরের গাড়িতে ধাক্কা মারার জন্যই অপেক্ষা করছিল বলেও দাবি করেছেন জয়প্রকাশ মজুমদার।
পুলিশ অবশ্য এসব দাবি মানতে নারাজ। পুলিশ জানিয়েছে ওই গাড়িটি সরাসরি তাদের নয়। নির্বাচনের সময় কেন্দ্রীয়বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়িটি ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। এদিন যা হয়েছে তা নেহাতই একটা দুর্ঘটনা। শান্তনুবাবুর মাথায় আঘাত লাগলেও তা খুব বড়সড় কিছু নয়। মাথায় কোনও স্টিচ করতে হয়নি।
অন্যদিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হওয়ার পর তাদের ওপর হামলা হওয়ায় আলাদা করে একটি মামলা দায়ের করেছে গাইঘাটা পুলিশ। প্রসঙ্গত বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে ভোট আগামী ৬ মে। এই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর মতুয়া মহাসংঘের প্রয়াত বড়মার নাতি।