লালবাজার অভিযান। ফলে লালবাজারের ত্রিসীমানায় কাউকে ঘেঁষতে দিচ্ছিল না পুলিশ। অনেক দূর থেকেই আটকে দেওয়া হয়েছিল রাস্তা। সাধারণ মানুষও সেখান দিয়ে তেমন হাঁটাচলা করতে পারছিলেন না। লালবাজারের আশপাশের বিশাল বাজারও ছিল বন্ধ। ছিল শুধু পুলিশি বন্দোবস্ত। এমন অবস্থা ছিল যে মাছিও গলতে পারবে না। সেই বজ্র আঁটুনির মধ্যেই কিন্তু লালবাজারের একদম গেটের সামনে ট্রামলাইনে পৌঁছে গেলেন ৩ মহিলা বিজেপি কর্মী।
লালবাজার অভিযানের মূল মিছিল তখনও সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে যাত্রা শুরু করেনি। ঘড়ির কাঁটায় তখন বেলা প্রায় ১টা। ঠিক সেই সময় ওই ৩ বিজেপি মহিলা কর্মী হাতে বিজেপির পতাকা নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে ট্রামলাইনের ওপর বসে পড়েন। মহিলা পুলিশের তরফে তাঁদের সরানোর চেষ্টা শুরু হলে তাঁরা রাস্তার ওপর শুয়ে পড়েন।
বেশ কিছুক্ষণ ধস্তাধস্তির পর বিজেপির ওই ৩ মহিলা কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের লালবাজারের মধ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় পেরিয়েও কীভাবে এই ৩ বিজেপি মহিলা কর্মী লালবাজারের গেট পর্যন্ত পৌঁছে গেলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে লালবাজারের সামনে সাময়িক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এদিন কোনও ঝুঁকি না নিয়ে দুপুরে নবান্নের গেটও বন্ধ রাখা হয়েছিল।