পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি মেনে কাটমানি ফেরতের দাবিতে বৃহস্পতিবার রাজ্য জুড়ে পথে নামল বিজেপি। বিজেপির এই আন্দোলন ঘিরে বিভিন্ন জায়গায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। কোথাও পুলিশের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি, কোথাও পথ অবরোধ, কোথাও বিজেপি কর্মীদের মারধর, কোথাও বোমাবাজি! কী না হল এদিন! বৃহস্পতিবার সকালে নবান্নের সামনে চলে আসেন কয়েকজন বিজেপি মহিলা কর্মী। বিজেপি মহিলা মোর্চার তরফেই এই বিক্ষোভ দেখানো হয়। আচমকা সেখানে হাজির হয়ে বিজেপির পতাকা নিয়ে রাস্তায় বসে স্লোগান দিতে থাকেন মহিলা বিজেপি কর্মীরা।
নবান্নের সামনে পুলিশ মোতায়েন থাকেই। এভাবে বিজেপি মহিলা মোর্চার কর্মীদের অবস্থান বিক্ষোভে তৎপর হয় তারা। মহিলা পুলিশ দিয়ে টেনে হিঁচড়ে তাঁদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কয়েকজন মহিলা বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। বেশ কিছুক্ষণ ধস্তাধস্তি, টানা হেঁচড়া চলার পর অবস্থা আয়ত্তে আনতে সক্ষম হয় পুলিশ। বাড়ানো হয় নিরাপত্তা।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এদিন আন্দোলন করে বিজেপি। মধ্যমগ্রামের বাদু রোডে বিজেপি এই কাটমানি ইস্যুতে মিছিল বার করে। অভিযোগ সেই মিছিলে হামলা চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বিজেপি কর্মীদের ব্যাপক মারধর করা হয়। তাঁদের বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপির তরফে মধ্যমগ্রাম চৌমাথায় অবরোধ করা হয়। ফলে ব্যস্ত যশোর রোড দিন দুপুরে স্তব্ধ হয়ে যায়। বিশাল যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশ এসে অবরোধ তোলার চেষ্টা করে। অভিযোগ বিজেপি কর্মীরা বেশ কয়েকজন যান চালককে মারধর করেন।
পশ্চিম বর্ধমানের বারাবনিতে এদিন বিডিও অফিস ঘেরাও করতে যান বিজেপি কর্মীরা। পুলিশ তাঁদের পথ আটকায়। সেসময় তাঁরা স্লোগান দিতে থাকেন। ঠিক সেইসময় তাঁদের খুব কাছেই বেশ কয়েকটি বোমা পড়ে। আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। অন্যদিকে শিলিগুড়ি পুরসভার সামনেও এদিন বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। কাটমানি ইস্যুতে এই বিক্ষোভে সামিল হন বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের আরও বিভিন্ন জায়গায় এদিন বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি।