বিধানসভা নির্বাচনে তিনি মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়াতে রাজি। লড়তে রাজি। যদি বিজেপি মনে করে তাঁকে মমতার বিরুদ্ধে দাঁড় করাবে তাহলে তিনি অবশ্যই লড়বেন। গত ১৪ অগাস্ট বন্ধু বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে করে দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে হাজির হয়ে বিজেপিতে যোগদানের পর মঙ্গলবার রাজ্য বিজেপি তাঁকে ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলে স্বাগত জানিয়ে সম্বর্ধনা দেয়। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেখানেই মমতার বিরুদ্ধে লড়ার কথা জানিয়ে দেন শোভনবাবু।
শোভনবাবু এদিন বলেন, এতদিন তৃণমূলের বিশ্বস্ত সৈনিক ছিলেন। এখন তিনি বিজেপিতে যোগদান করেছেন। এখন তিনি বিজেপির বিশ্বস্ত সৈনিক হিসাবে কাজ করবেন। দল তাঁকে যেখানে যেভাবে ব্যবহার করতে চায় তিনি রাজি বলেও জানান শোভনবাবু। তবে তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেবেন কিনা সে বিষয়টি এদিন পরিস্কার করেননি কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী।
বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় যে তাঁর পরিপূরক তাও এদিন খোলাখুলি জানিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও শোভনবাবু মন্ত্রী পদে থাকাকালীন কী কষ্ট সহ্য করেছেন সেকথা বলেন। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে শোভনবাবুকে নারদ প্রশ্নেরও সম্মুখীন হতে হয়। নারদ কেলেঙ্কারিতে সিবিআই তদন্তের হাত থেকে বাঁচতেই কী তিনি বিজেপিতে যোগ দিলেন? এই প্রশ্নের উত্তরে শোভনবাবু জানান বিষয়টি এখন আদালতের বিচারাধীন। অভিযুক্ত হওয়া আর দোষী সাব্যস্ত হওয়ার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। এখনও কিছু প্রমাণ হয়নি।