Kolkata

বিজেপির সিইএসসি অভিযানে তুলকালাম, লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস, জল কামান

বিজেপির যুব মোর্চার তরফে বিদ্যুতের মাশুল বৃদ্ধির প্রতিবাদে বুধবার ধর্মতলায় সিইএসসি-র হেড অফিস ভিক্টোরিয়া হাউস অভিযানের ডাক দেওয়া হয়। সেইমত এদিন সেন্ট্রাল এভিনিউ ধরে মিশন রো ক্রসিং পার করে বিজেপির মিছিল এসে পৌঁছয় প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিটের মুখে। সেখানেই ব্যারিকেড করে দিয়েছিল পুলিশ। চাঁদনি চক এলাকায় তখন চরম ব্যস্ততা। কারণ একদিকে সেখানে অনেক অফিস। আবার প্রচুর দোকানপাট। যেখানে বিকিকিনি তখন সবে জমে উঠেছে। এই অবস্থায় পুলিশের ব্যারিকেডের সামনে এসে পড়ে বিজেপির মিছিল।

ব্যারিকেড ভেঙে সামনে এগোনোর চেষ্টা করেন বিজেপির যুব মোর্চার কর্মীরা। প্রথম ব্যারিকেড দ্রুত ভেঙে এগিয়ে যান বিজেপি কর্মীরা। দ্বিতীয় ব্যারিকেডের সামনে এসে পড়ার পর তাঁদের সঙ্গে শুরু হয় পুলিশের ধাক্কাধাক্কি। উল্টোদিক থেকে পুলিশও ব্যারিকেড ধরে রাখতে চাপ তৈরি করতে থাকে। বিজেপিকে ঠেকাতে প্রচুর পুলিশের পাশাপাশি তৈরি ছিল কাঁদানে গ্যাসের শেল, জল কামান। সামান্য কিছু সময় ধাক্কাধাক্কির পরই বিজেপির কর্মীদের দিকে জল কামান ছোঁড়া শুরু হয়। পুলিশ কর্মীরা লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যান। পাল্টা বিজেপি কর্মীরা পাথর বৃষ্টি শুরু করেন। যার একটি টুকরো এসে লাগে এক পুলিশকর্মীরা মাথায়। মাথা ফাটে তাঁর। পাল্টা পুলিশও লাঠিচার্জের পাশাপাশি কাঁদানে গ্যাস ছুঁড়তে শুরু করে। ফলে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা।


সংঘর্ষ শুরুর পর অনেক দোকান শাটার নামিয়ে দেয়। আশপাশের গলি দিয়ে ছুটতে থাকেন অনেকে। যাঁদের মধ্যে বহু সাধারণ মানুষও ছিলেন। তাঁরা এসেছিলেন নিজেদের কাজে। কিন্তু সংঘর্ষের মাঝে পড়ে যান। এদিন ৬ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। অন্যদিকে বিজেপির দাবি তাঁদের প্রায় ৫০ জন কর্মী আহত হয়েছেন। যাঁদের মধ্যে কয়েকজনের মাথা ফেটেছে। এক তুলকালাম পরিস্থিতিতে চাঁদনি চকের মত জায়গা কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায়। বাস চলাচল বন্ধ। দোকানপাট বন্ধ।

বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু ও বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই আন্দোলনে বাধা পাওয়ার পর রাস্তায় বসে পড়েন রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্য বিজেপি কর্মীরা। তাঁদের সেখান থেকে দ্রুত তুলে দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিশ। তাঁরা উঠতে না চাওয়ায় পুলিশ জোর করে তাঁদের টেনে সরিয়ে দেয়। রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হন অন্য অনেক কর্মী। প্রায় ঘণ্টাখানেক এমন চলার পর অবশেষে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তখনও গোটা এলাকা জুড়ে রাস্তা জল থৈথৈ। দুপুরের পর অবস্থা স্বাভাবিক হয়। যান চলাচল শুরু হয়। দোকানপাটও ফের চালু হয়।


Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button