গত রবিবার রাতে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জে এক ১৭ বছরের কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের পর তার গলা কেটে হত্যা করা হয়। তারপর প্রমাণ লোপাট করতে পেট্রোল ঢেলে তার দেহ পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা হয়। পরের দিন কালভার্টের তলায় বেশ কয়েকটি কুকুরকে কিছু নিয়ে নিজেদের মধ্যে লড়াই করতে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। তাঁরা সেখানে দেখতে গিয়ে ওই কিশোরীর পোড়া দেহ দেখতে পান।
পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। এই ঘটনায় ৩ জনকে অভিযুক্ত হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। হায়দরাবাদ ঘটনার সঙ্গে এই ঘটনার মিল পাওয়া যায়। শুক্রবার সেই ঘটনাকে সামনে রেখে এ রাজ্যে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে মিছিল বার করতে যায় বিজেপি। কিন্তু অনুমতি না থাকায় মিছিল আটকে দেয় পুলিশ।
রাজ্য বিজেপি মিছিল করার অনুমতি চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। সেখানে রাজ্যের তরফে জানানো হয় যে রুটে বিজেপি মিছিল করতে চাইছে সেই রুটে আগেই একটি মিছিলের অনুমতি দেওয়া আছে। তবে বিকল্প রুটে তারা মিছিল করতে পারে। হাইকোর্ট সেই বিকল্প রুটে বিজেপিকে মিছিলের অনুমতি দেয়। তারপরই রবীন্দ্র সদনের সামনে থেকে বিকেল ৩টে নাগাদ মিছিল বার করে বিজেপি। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন বিজেপি সাংসদ তথা মহিলা মোর্চার প্রধান লকেট চট্টোপাধ্যায়। ছিলেন বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বহু বিজেপি কর্মী সমর্থক।
মিছিল এক্সাইড মোড় হয়ে বিড়লা তারামণ্ডল হয়ে বাঁক নিয়ে ফের নন্দনের সামনে আসে। মিছিল থেকে রাজ্যে আইন শৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে বলেও দাবি করা হয়। লকেট চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দেন যতদিন না কুমারগঞ্জের ঘটনায় সুরাহা হচ্ছে ততদিন তাঁদের আন্দোলন চলবে। এদিনের মিছিলে বিজেপির কর্মী সমর্থকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতন।