এ প্রাণির শিরা উপশিরা মানুষের জন্য সুইমিং পুল হতে পারে
সুইমিং পুলে অনেকেই সাঁতার কাটেন। এজন্য দরকার একটি ছড়ানো জায়গা আর জল। একটি প্রাণি রয়েছে যার শিরা উপশিরার মধ্যেই রয়েছে সুইমিং পুলের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা।
পৃথিবীর বুকে একসময় অতিকায় সব জীব ঘুরে বেড়াত। যার একটি অবশ্যই ডাইনোসর। অতি বিশাল প্রাণি বোঝাতে ডাইনোসরকেই বোঝে পৃথিবী। অথবা রূপকথার কল্পনাপ্রসূত কোনও প্রাণি। যা দানবও হতে পারে।
কিন্তু ডাইনোসর পৃথিবী থেকে অবলুপ্ত হয়ে গেলেও বর্তমান পৃথিবীতে এমন এক প্রাণি রয়েছে যা ডাইনোসরাসের চেয়েও আকারে বড়। যা লম্বায় ১০০ ফুটও হয়। ওজন আনুমানিক ২০০ টনের কাছে। যার হৃদপিণ্ডটাই একটা ছোট গাড়ির সমান বড়।
সে প্রাণি কিন্তু পৃথিবীতে দিব্যি ঘুরছে। বংশবৃদ্ধি করছে। এই প্রাণির হৃদপিণ্ড পর্যন্ত রক্তকে পৌঁছে দিতে শরীর জুড়ে রয়েছে শিরা ধমনী।
বিজ্ঞানীরা দেখেছেন এদের শিরা এতটাই বড় হয় যে শিরার মধ্যে দিয়ে যে রক্ত প্রবাহিত হয় তাতে দিব্যি সাঁতার কাটতে পারেন একজন পূর্ণচেহারার মানুষ। যা ভাবলেও কিছুটা অবাক হতে হয়। কিন্তু এটাই ঘটনা।
এ প্রাণি অবশ্য স্থলে থাকেনা, থাকে জলে। সমুদ্রের সবচেয়ে বড় প্রাণি হল ব্লু হোয়েল বা নীল তিমি। যাকে এই মুহুর্তে বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রাণি বলে মনে করা হয়।
এই নীল তিমি সমুদ্রে তার ওই অতিকায় দেহ নিয়ে দিব্যি ভেসে বেড়ায়। এটা অনুমেয় যে যার শিরার মধ্যের গহ্বর এতটাই বড় যে সেখানে একজন মানুষ হেসে খেলে সাঁতার কাটতে পারেন, তার চেহারা কতটা বড় হবে!
নীল তিমির ৫ রকম ধরনের কথা জানতে পারা গেছে। আর্কটিক মহাসাগর বাদ দিয়ে বাকি সব মহাসমুদ্রেই নীল তিমি দেখতে পাওয়া যায়।