২০১৯ বিশ্বকাপ দিয়েই শেষ হয়েছে রবি শাস্ত্রী ও অন্য কোচিং স্টাফদের বিসিসিআই-য়ের সঙ্গে চুক্তি। নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে ভারতের কোচ ও কোচিং স্টাফেরা প্রবল সমালোচনার মুখে। এই অবস্থায় আরও ৪৫ দিন বাড়ল তাঁদের কার্যকালের সময়সীমা। আরও ৪৫ দিনের জন্য ভারতীয় দলকে কোচিং করানোর সুযোগ পাচ্ছেন তাঁরা। সংবাদ সংস্থা আইএএনএস জানাচ্ছে তাদের কাছে এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন বিসিসিআই-য়ের এক আধিকারিক।
ভারতীয় দলের এমন করুণ ও লজ্জার হারের পরও ভারতীয় কোচ ও কোচিং স্টাফদের কার্যকালের মেয়াদ বাড়লে তা কতটা সমালোচনার মুখে পড়বে তা অজানা। তবে বিসিসিআই কর্তাদের চোখে রবি শাস্ত্রীর চেয়েও বেশি চক্ষুশূল হয়েছেন সহকারী কোচ সঞ্জয় বাঙ্গার। বারবার মিডল অর্ডারে বদল ভারতীয় দলকে সমস্যায় ফেলেছে বলে মনে করছেন বিসিসিআই কর্তারা। ফলে তাঁকে নিয়ে প্রশ্ন থাকছে।
বিসিসিআই-য়ের এক কর্তা আইএএনএস-কে জানিয়েছেন, যখন সঞ্জয় বাঙ্গার জানাচ্ছেন যে বিজয় শঙ্কর সুস্থ, তার পরেই জানা গেল বিজয় শঙ্কর এই প্রতিযোগিতাতেই নাকি আর খেলতে পারবেননা। তাঁর এতটাই গভীর চোট রয়েছে। এখানে প্রশ্ন উঠছে সঞ্জয় বাঙ্গারকে নিয়ে। অনেকেই তাঁর কাছে থাকা খবর নিয়ে অবাক। বিসিসিআই মনে করছে বাঙ্গার এর চেয়ে অনেক ভাল কাজ করতে পারতেন। প্রসঙ্গত বাঙ্গারই কিন্তু ভারতীয় দলের ব্যাটিং কোচও।
বোলিং কোচ ভরত অরুণের কাজ নিয়ে অবশ্য বিসিসিআই খুশি। ভারতীয় বোলিং অসাধারণ হয়েছে বলে মনে করছে তারা। কিন্তু ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে, মিডল অর্ডারে ঘনঘন পরিবর্তন নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে বিসিসিআই-এর। ক্ষুব্ধ বিসিসিআই কর্তা আরও জানিয়েছেন, শচীন, সৌরভ ও লক্ষ্মণকে নিয়ে তৈরি ক্রিকেট অ্যাডভাইজরি কমিটি-র সঙ্গেও ভারতীয় কোচিং টিম বিশেষ কথা বলেনি। তাদের পরামর্শ অগ্রাহ্য করেছে। যা লজ্জার।
সব মিলিয়ে বিসিসিআইয়ের কোচিং টিম নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এরমধ্যে সঞ্জয় বাঙ্গারের ভূমিকা নিয়ে তারা চরম অসন্তুষ্ট। ফলে সঞ্জয় বাঙ্গারের চাকরি নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। তবে ভরত অরুণের ভূমিকা নিয়ে তারা খুশি। এরপর সময়ই বলে দেবে ভারতীয় দলের কোচিং নিয়ে বিসিসিআই ঠিক কোন পথে হাঁটে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা