গার্হস্থ্য নির্যাতনের অভিযোগে হাজতবাস হল বড় পর্দার পরিচিত অভিনেত্রী ববি ডার্লিংয়ের স্বামীর। ভালোবাসার পুরুষের সঙ্গে ঘর বাঁধার স্বপ্ন ছিল দু’চোখে। তাই শরীর ও মনের কষ্ট তুচ্ছ করে লিঙ্গ পরিচয় পাল্টে ফেলেন বড় পর্দার পরিচিত মুখ ববি ডার্লিং। সমাজের কটাক্ষ উপেক্ষা করে অস্ত্রোপচারের সাহায্যে ববি ডার্লিং থেকে হয়ে ওঠেন পাখি শর্মা। নারী পরিচয়ে মধ্যপ্রদেশের ভোপালের ব্যবসায়ী রামনিক শর্মার সঙ্গে ২০১৬-য় পরিণয় বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। কিন্তু বিয়ের ১ বছরের মাথায় স্বপ্নভঙ্গ হয়। শারীরিক নির্যাতন ও পণের দাবিতে অত্যাচারের অভিযোগ এনে ২০১৭-য় স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হন ‘কেয়্যা কুল হ্যায় হাম’-এর অভিনেত্রী।
‘বিগ বস ১’-এর প্রতিযোগিনী দাবি করেন, রামনিক অস্বাভাবিক যৌন সম্পর্কের জন্য তাঁর ওপর চাপ সৃষ্টি করত। মদ্যপান করে তাঁকে মারধর করত। ববি ডার্লিং এও অভিযোগ করেন, বিয়ের পর রামনিক তাঁর মুম্বই ও ভোপালের বাড়ি দখল করে। লাগামছাড়া শখ আহ্লাদে মত্ত হয়ে ওঠে। সেই কাজে রামনিককে তাঁর বাড়ির লোক ইন্ধন যোগাত বলে দাবি করেন ‘পার্টনার’, ‘আপনা সপনা মানি মানি’-র অভিনেত্রী। ভোপালের বাড়িতে স্বামী দীর্ঘদিন আটকে রেখে তাঁকে অত্যাচার করত বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন ববি।
তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। গত ১১ মে ববি ডার্লিংয়ের স্বামী রামনিককে গ্রেফতার করে তাঁরা। যদিও রুপান্তরকামী স্ত্রীর সব অভিযোগ অস্বীকার করেন গার্হস্থ্য হিংসা মামলায় অভিযুক্ত রামনিক শর্মা। হাজতবাস এড়াতে দিল্লি আদালতে জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। সেই আবেদন নাকচ করে দেন বিচারকরা। আপাতত আদালতের পরবর্তী শুনানির দিন পর্যন্ত তিহার জেলের কুঠুরিতে দিন কাটাচ্ছে রামনিক শর্মা।
(ছবি – সৌজন্যে – ফেসবুক)