৯ বছর হল বিয়ে হয়েছে। অথচ একদিনের জন্যও স্বামী স্ত্রীর মধ্যে যৌন মিলন হয়নি। খাতায়-কলমে নামেই স্বামী-স্ত্রী ছিলেন তাঁরা। এতগুলো বছরে তাঁদের মধ্যে স্বাভাবিক শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি। অথচ দাম্পত্য জীবনে এই সম্পর্কের মাহাত্ম্য অত্যন্ত বেশি। ৯ বছরেও সেই সম্পর্ক গড়ে না ওঠায় এক দম্পতির বিয়ে বাতিল করে দিল বম্বে হাইকোর্ট। স্ত্রীর আনা বিচ্ছেদের মামলায় সম্মতিসূচক সিলমোহর দিলেন বিচারপতি মৃদুলা ভাটকর৷
২০০৯ সালে খালি কাগজে সই করিয়ে ছলনার সাহায্যে তাঁকে তাঁর স্বামী বিয়ে করেন বলে দাবি করেন ওই মহিলা। তাঁর দাবি, তাঁকে অন্ধকারে রেখেই তাঁকে দিয়ে বিয়ের কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয়। এই অভিযোগে প্রথমে নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হন মহারাষ্ট্রের কোলাপুরের বাসিন্দা ওই মহিলা। কিন্তু এত বছরের দাম্পত্য জীবনে স্বাভাবিক স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক গড়ে না ওঠায় তাঁদের বিয়ে বাতিল করে দেয় নিম্ন আদালত। এরপর মহিলার স্বামী দ্বারস্থ হন বম্বে হাইকোর্টে। হাইকোর্ট এই মামলায় জানায়, বিবাহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে নিয়মিত যৌন সম্পর্ক। কিন্তু মামলা চলাকালীন স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হওয়ার দাবি জানালেও, আদতে দাবির স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ দিতে পারেননি মহিলার স্বামী। বিচারপতি জানান, আদালতে মহিলা জোর করে বিবাহের কাগজে লিখিয়ে নেওয়ার দাবি করলেও তিনি শিক্ষিত। তাই তাঁকে দিয়ে জোর করে সই করিয়ে নেওয়ার তত্ত্ব মেনে নেওয়া মুশকিল। অন্যদিকে মহিলার স্বামীও কোনওভাবে প্রমাণ করতে পারেননি তাঁর সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর একদিনের জন্যও যৌন সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। এই অবস্থায় এই বিয়ের কোনও মানেই থাকেনা। যেখানে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে এতদিনেও একদিনের জন্য যৌন সম্পর্ক স্থাপিত হয়নি। তাই এই বিয়ে বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি মৃদুলা ভাটকর। আদালতের এই রায় অবশ্য মানতে নারাজ অভিযোগকারিণীর স্বামী। তিনি হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন।