মেঝেতে বসে চরকায় সুতো কাটলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
ব্রিটিশ শাসনের উত্তাল সময়ে ইংরেজদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের একটা ভাষা হয়ে উঠেছিল মহাত্মা গান্ধীর চরকা। সেই চরকায় এবার সুতো কাটলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
পৃথিবীতে সবই বদলায়। এক সময় ব্রিটিশ শাসন থেকে ভারতকে মুক্ত করতে যে স্বাধীনতা সংগ্রামের লড়াই মহাত্মা গান্ধীর হাত ধরে দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল সেই লড়াইয়ে অন্যতম প্রতীকে পরিণত হয়েছিল চরকা।
বিদেশি দ্রব্য বর্জন করে খাদি পোশাকে জোর দিতে চরকায় সুতো কাটাকে প্রতীক করেছিলেন মহাত্মা গান্ধী। সেই চরকা আজও রয়েছে গান্ধীজির স্মৃতি বিজড়িত সবরমতী আশ্রমে।
ভারতে ২ দিনের সফরে আসা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আমেদাবাদে হাজির হন বৃহস্পতিবার। সেখানে সবরমতী আশ্রমে যান তিনি।
সেই সবরমতী আশ্রম, যেখানে বসে ব্রিটিশদের ভারত থেকে তাড়ানোর কৌশল স্থির হত। সেখানেই হাজির হয়ে এক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেবল ঘুরেই দেখলেন না, মেঝেতে বসে গান্ধীজির চরকায় হাতও দিলেন। সুতো কাটারও চেষ্টা করলেন।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর এই চরকা কাটার চেষ্টায় গান্ধীজিকে সম্মান জানানো তো ছিলই, পাশাপাশি কি তাঁদের পূর্বপুরুষদের ভারত দখলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে অনুশোচনাও ছিল? তবে কি আধুনিক ব্রিটেন ভুল শুধরে নেওয়ার বার্তাই দিতে চাইল?
বৃহস্পতিবার সবরমতী আশ্রম ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে ঘুরিয়ে দেখান গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল। পরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ভিজিটরস বুকে লেখেন, এক অসামান্য মানুষের আশ্রমে আসতে পেরে তিনি অভিভূত। এখানে এসে তিনি এটাও বুঝতে পারলেন যে ছোট ছোট সত্যের আদর্শ ও অহিংস নীতিতে বিশ্বাসী মানুষটি কীভাবে বিশ্বকে বদলাতে চেয়েছিলেন।
তাঁর ২ দিনের সফরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জোর দিতে চাইছেন ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের উন্নয়নে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা