করোনা থেকে সেরে উঠেই দারুণ খবর পেলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী
করোনা সংক্রমিত হওয়ার পর প্রথমে হোম কোয়ারেন্টিন ও পরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। সেই লড়াই জিতে উঠেই দারুণ খবর পেলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
কথায় বলে সব আঁধারের শেষে আলো থাকে। মেঘ একদিন কেটে যায়। ঝলমলে হয়ে ওঠে প্রকৃতি। তেমনই করোনার কালো ছায়া তাঁকে টেনে নিয়ে গিয়েছিল আইসিইউ পর্যন্ত। তারপর সেখান থেকে করোনার সঙ্গে লড়াই করে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সেই কালো দিন পার করে তাঁর জীবনে এবার এল দারুণ খবর। একটা তাজা বাতাসের মত মন ভাল করে করে দেওয়া সেই খবরে স্বভাবতই খুশি বরিস।
বরিস জনসনের প্রেমিকা তথা বাগদত্তা ক্যারি সাইমন্ডস জন্ম দিলেন তাঁদের সন্তানের। পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন তিনি। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র একথা জানিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন মা ও সদ্যোজাত ২ জনেই ভাল আছেন। লন্ডনের হাসপাতালে বুধবার যতক্ষণ ক্যারি অপারেশন থিয়েটারে ছিলেন ততক্ষণ হাসপাতালে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেছেন বরিস জনসন। তারপর সুখবর পেয়ে আনন্দে ফেটে পড়েন।
৫৫ বছর বয়সী বরিসের সঙ্গে ৩২ বছরের ক্যারির বিয়ের সব ঠিকঠাক। তার আগেই অবশ্য ক্যারি জন্ম দিলেন তাঁদের সন্তানের। গত মার্চেই বরিস ও ক্যারি কার্যত ঘোষণাই করেছিলেন যে তাঁদের সন্তান আসতে চলেছে গ্রীষ্মের শুরুতেই। হলও তাই। গ্রীষ্মের শুরুতেই জনসন পরিবারে নবাগতের আগমন হল। করোনার সঙ্গে লড়াই জিতে গত সোমবারই তাঁর কাজে ফিরেছেন বরিস। বুধবার বাবা হলেন তিনি। তবে ব্রিটেনে করোনা পরিস্থিতি কিন্তু এখনও উদ্বেগজনক। দেশের খুব কঠিন সময়ে সন্তান এল বরিসের ঘরে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা