শিক্ষিকাদের বিষপানকে গুরুত্ব দিতে নারাজ শিক্ষামন্ত্রী, বিজেপি ক্যাডারের তকমা
আন্দোলনরত শিক্ষিকাদের বিষপান কাণ্ডকে গুরুত্ব দিতে নারাজ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বরং যাঁরা এমন আন্দোলন করছেন তাঁদের বিজেপি ক্যাডার তকমা দিয়েছেন তিনি।
বিকাশ ভবনের সামনে গত মঙ্গলবার বাড়ি থেকে অনেক দূরে বদলির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে বিষপান করেন ৫ চুক্তিভিত্তিক শিক্ষিকা। দ্রুত তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
এক দিন পার করেও শিক্ষিকাদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। বিষয়টি নিয়ে বিরোধীরা সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেও বিষয়টিতে গুরুত্ব দিতে নারাজ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
বুধবার শিক্ষামন্ত্রী সোশ্যাল সাইটে পোস্ট করে শিক্ষক শিক্ষিকাদের কী কী সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে তা জানান। সেইসঙ্গে লেখেন তার পরেও যে শিক্ষক শিক্ষিকারা আন্দোলন করছেন তাঁরা বিজেপি ক্যাডার।
বিষয়টি নিয়ে কিন্তু হাত গুটিয়ে বসে নেই বিরোধী বিজেপি। কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার বুধবার বিষপান করায় চিকিৎসাধীন শিক্ষিকাদের দেখতে এনআরএস হাসপাতালে যান। সেখানে তিনি বাধার মুখে পড়েন বলে দাবি করেন সুভাষবাবু।
সুভাষবাবুর দাবি, রাজ্যে গণতন্ত্র নেই। তিনি এও দাবি করেন যে হাসপাতাল সুপারের সঙ্গে কথা বলেই তিনি হাসপাতালে এলেও পুলিশ দরজা ঘিরে রেখেছে। এদিন বিজেপির পর কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দলও এনআরএস হাসপাতালে শিক্ষিকাদের দেখতে হাজির হয়।
প্রতিবাদের সুর তোলায় তাঁদের বাড়ি থেকে বহু দূরে বদলি করা হয়েছে, এমন দাবি করে গত মঙ্গলবার ৫ শিক্ষিকা প্রতিবাদ করতে করতে বিকাশ ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করেন।
বিকাশ ভবনেই রয়েছে রাজ্যের শিক্ষা দফতর। শিক্ষিকারা দরজা পার করার চেষ্টা করলে তাঁদের পথ আটকায় পুলিশ। শিক্ষিকারা উচ্চকণ্ঠে প্রতিবাদ করতে করতে বিকাশ ভবনের দরজার সামনেই প্রতিবাদে শামিল হন।
এই সময় আচমকাই তাঁরা ব্যাগ থেকে শিশি বার করেন। তারপর শিশির ভিতরে থাকা বিষ গলায় ঢেলে দেন। বিষপান করায় তাঁদের মুখ দিয়ে সাদা ফেনার মত বার হতে থাকে। অসুস্থ হয়ে সেখানেই শুয়ে পড়তে থাকেন একের পর এক শিক্ষিকা।
দ্রুত ৫ শিক্ষিকাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। ২ জনকে পাঠানো হয় এনআরএস মেডিক্যালে। বাকি ৩ জনকে আর জি কর হাসপাতালে।