মৃত কর্মীর দেহ ছাতা দিয়ে ঢেকে বেচাকেনা চালিয়ে গেল সুপারমার্কেট
দোকানের মধ্যেই মৃত তাদের এক কর্মীর দেহ ছাতা দিয়ে ঢেকে কেনাবেচা চালু রেখে দিল একটি সুপারমার্কেট। অমানবিক ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছেন নেটিজেনরা।
ব্রাসিলিয়া : সুবিশাল সুপারমার্কেট। হাজারো পসরা। সারাক্ষণই সেখানে বিক্রেতাদের ভিড় লেগে থাকে। কেনাকাটা চলতেই থাকে। এমন এক চালু ব্যবসা এক কর্মীর মৃত্যুর জন্য বন্ধ হয়ে যাবে দিনের মত! তা কীভাবে হবে? বরং যিনি মারা গেছেন তাঁর দেহ ছাতা দিয়ে ঢেকে কেনাকাটা স্বাভাবিক রাখল বাজার কর্তৃপক্ষ। আর তাদেরই এক কর্মী মৃত অবস্থায় পড়ে রইলেন দোকানের মধ্যেই। কেবল দেহটা ঘিরে দেওয়া হল ছাতা দিয়ে। যাতে ক্রেতাদের সমস্যা না হয়।
এমনই এক শিউরে ওঠার মত ঘটনা সামনে আসার পর নেট দুনিয়া ক্ষোভে ফেটে পড়েছে। এতটাও অমানবিক হওয়া যায়? ওই সুপারমার্কেটেরই কর্মী সকালে যেমন কাজে আসেন এসেছিলেন গত ১৪ অগাস্ট। কাজ করতে করতেই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। দোকানের মধ্যে লুটিয়ে পড়েন তিনি। মৃত্যু হয় তাঁর।
তারপর তাঁর মৃতদেহ নিয়ে যা করা উচিত সে রাস্তায় না হেঁটে এমনকি ওই কর্মীর বাড়ির লোকজনকেও সঠিক সময়ে খবর না দিয়ে সুপারমার্কেট কর্তৃপক্ষ কেনাবেচা যেমন চলছে চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কেবল দেহটিতে কেউ হাত না দিয়ে বা না সরিয়ে যেখানে পড়েছিল সেখানেই ফেলে রেখে তা কিছু কার্ডবোর্ডের বাক্স ও সবুজ ছাতা দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। তারপর যেমন বাজার চলছিল তেমনই চলতে থাকে। যেন কিছুই হয়নি।
ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাজিলের রেসিফে শহরের ক্যারিফর সুপারমার্কেটে। ছাতা দিয়ে ঘেরা দেহের ছবিটা সামনে আসার পর ঘটনা জানাজানি হয়। নেটিজেনদের দাবি, কেবল অর্থের জন্য মানুষ কোথায় নামতে পারে তার উদাহরণ এটি। মানুষের কোনও দাম নেই ওই সুপারমার্কেট কর্তৃপক্ষের কাছে। চরম অমানবিকতার নিদর্শন এটি বলেও জানান সকলে।
নেট দুনিয়ার তরফ থেকে এমন চরম আক্রমণ ও ধিক্কার, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর বেকায়দায় পড়া সুপারমার্কেট এখন নিজেদের বদনাম এড়াতে এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে। তারা স্বীকার করেছে তাদের তরফে এটা ভুল হয়েছে। তাদের ঘটনার পরই দোকান বন্ধ করা উচিত ছিল। ক্ষমা চাইলেও কী তাদের অপরাধ ক্ষমার যোগ্য? সে প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে।