শিল্পীর ছোঁয়ায় মুখ আর মুখোশ এখন মিলেমিশে একাকার
মাস্কে মুখ ঢাকা পরেছে বিশ্বের। করোনা পরিস্থিতিতে মাস্ক আবশ্যিক। এবার মাস্ক ও মুখের মেলবন্ধন ঘটালেন এক শিল্পী। তাঁর ছোঁয়ায় ফের প্রাণ পেল মানুষের নিজের মুখখানি।
ব্রাসিলিয়া : স্বাভাবিক জীবন এখন আর নেই। এখন নিউ নর্মাল জীবন। যে জীবনে আছে করোনা নিয়ে চিন্তা, মাস্ক, স্যানিটাইজার, মানুষে মানুষে শারীরিক দূরত্ব।
সেই কবে থেকেই মানুষের মুখ ঢাকা পড়েছে মাস্কের আড়ালে। ঘর থেকে বার হলেই মুখ ঢাকা মাস্ক অনেকের মন খারাপ করে দিচ্ছিল। মুখটাই তো দেখা যাচ্ছে না। না নিজের, না অন্যের।
এটা অনেকের জন্য মানসিক সমস্যারও কারণ হচ্ছিল। কিন্তু মাস্ক তো পরতেই হবে। তাহলে উপায়?
উপায়টা বার করে ফেললেন এক শিল্পী। শিল্পী মন আর হাতের যাদুতে মুখ আর মুখোশের ফারাকটুকু নিমেষে মুছে দিলেন তিনি। যা সারা বিশ্ববাসীকে স্বস্তি দিয়েছে। চমকিতও করেছে।
ব্রাজিলের ওই ৬৫ বছরের শিল্পী মাস্কের ওপরই এঁকে ফেলছেন মাস্কে ঢাকা মুখাবয়বের অংশ। চামড়ার রংয়ের মাস্কের ওপর তিনি এঁকে দিচ্ছেন ওই ব্যক্তির মুখের মাস্কে ঢাকা অংশটুকু।
তাতে মাস্কের পিছনে হারিয়ে যাওয়া মুখটা আর মাস্কের আড়ালে হারিয়ে যাচ্ছেনা। তা থেকে যাচ্ছে বহাল তবিয়তে। হাতের ছোঁয়ায় অদ্ভুতভাবে মিশে যাচ্ছে কারও মুখের আসল অংশ ও মাস্কের ওপর আঁকা অংশ।
ব্রাজিলের হরফে হোরিজ নামে ওই শিল্পী রিও কার্নিভালকে আরও সুন্দর করে সাজিয়ে তুলেছেন বিভিন্ন সময়ে। তাঁর শিল্পের যাদুর সঙ্গে পরিচিত ব্রাজিল সহ গোটা বিশ্ব। করোনা পরিস্থিতিতেও তাঁর শিল্পী মন আর থেমে থাকেনি।
মাস্কের পিছনে হারিয়ে যাওয়া মুখকে হরফে হোরিজ এখন আর হারিয়ে যেতে দিচ্ছেন না। একটি মুখের ছবি শিল্পীর হাতে তুলে দিলেই তিনি চামড়ার রংয়ের মাস্কের ওপর ফুটিয়ে তুলছেন ঢাকা পরা মুখটিকে।
এতেই ঘটে যাচ্ছে ম্যাজিক। মাস্ক পরার পর মনে হচ্ছেনা ওই ব্যক্তি মাস্ক পরে আছেন। পুরো মুখটাই দৃশ্যমান হচ্ছে। এতে সাপও মরছে আবার লাঠিও ভাঙছে না। মাস্কও পরা হচ্ছে আবার মুখও ঢাকা পরছে না।
যাঁরা মুখ মাস্কে ঢাকলেও চান না তাঁর মুখ না দেখা যাক তাঁরা এখন লাইন দিচ্ছেন শিল্পীর দরজায়।