অফিস থেকে কর্মস্থল সর্বত্র টুথব্রাশ ও টুথপেস্ট নিয়ে ঘোরেন এখানকার মানুষ
সকালে ব্রাশ করেই সকলে অফিসে যান। এমন নয় যে ব্রাশ না করেই তাঁরা অফিস ছোটেন। কিন্তু অফিসেও টুথপেস্ট ও টুথব্রাশ নিয়ে যান এখানকার মানুষ।
সকালে ব্রাশ করেই বাড়ি থেকে বার হন। সেখানে কোনও ভুল নেই। কিন্তু তার পরেও এ দেশের মানুষ রাস্তায় কাজে বার হলে সঙ্গে করে টুথপেস্ট ও টুথব্রাশ নিয়ে যান। সে অফিস হোক বা অন্য কোনও কাজে যাওয়া। মানুষ কখনওই টুথপেস্ট ও টুথব্রাশ ভোলেন না। কিন্তু কেন এমন আজব প্রথা?
আসলে ব্রাজিলের বাসিন্দারা যথেষ্ট শরীর সচেতন। তাঁরা কিন্তু প্রতিদিন একাধিকবার ব্রাশ করেন। ছোট থেকেই তাঁদের এটা শেখানো হয়। আর এই ব্রাশ করার অভ্যাস বহু প্রজন্ম আগে থেকেই চলে আসছে।
ব্রাজিলের মানুষজন অফিসে খাবার পরও ব্রাশ করে নেন। অথবা তাঁদের কর্মস্থলে খাবার পর ব্রাশ করেন। এজন্য তাঁরা সঙ্গে করে টুথপেস্ট ও টুথব্রাশ বহন করে বেড়ান।
এমনকি রেস্তোরাঁতে খেতে গেলেও এর অন্যথা হয়না। যদি কেউ টুথপেস্ট ও টুথব্রাশ সঙ্গে না নিয়েই রেস্তোরাঁয় যান তাহলে রেস্তোরাঁ তাঁদের মাউথওয়াশ সার্ভ করে।
এতে অতিথিরা তাঁদের অভ্যাসের মধ্যেই থাকতে পারেন। এমন এক দাঁতের যত্ন কিন্তু বিশ্বে একমাত্র ব্রাজিলীয়দের মধ্যেই দেখতে পাওয়া যায়।
যদি কোনও ব্রাজিলীয়ের সঙ্গে দেখা হয় এবং তাঁকে একাধিকবার দিনে ব্রাশ করতে দেখা যায় তাহলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ এটা তাঁরা ছোট থেকে শিখে বড় হন। সঙ্গে টুথপেস্ট ও টুথব্রাশ রাখেন। যা বিশ্বের আর কোথাও দেখা যায়না।