ডাইনোসরের এমন চেহারা হয় নাকি, নতুন আবিষ্কারে বিস্মিত বিজ্ঞানীরাও
এ পৃথিবীর বুকে ডাইনোসর তো ঘুরে বেড়াত। কিন্তু এমন ডাইনোসরও যে ঘুরত তা এতদিন জানা ছিলনা বিজ্ঞানীদের। সেই খোঁজ পেতেই বিস্মিত তাঁরা।
ডাইনোসর যে এ পৃথিবীর বুকে ঘুরে বেড়াত তা নতুন তথ্য নয়। নানা ধরনের ডাইনোসরের খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। নানারকম তাদের আকার ও বৈশিষ্ট্য। তবে এমন ডাইনোসরও যে পৃথিবীর বুকে ঘুরত তা এতদিন জানতেন না বিজ্ঞানীরা। অবাক করা এদের চেহারা।
বিশ্বের তাবড় সংবাদমাধ্যমে হওয়া খবর বলছে ১৯৮৪ সালে ব্রাজিলে ডাইনোসরের কিছু পায়ের ছাপ উদ্ধার করেন লিওনার্দি নামে এক বিশেষজ্ঞ। তিনি তা মিউজিয়ামের হাতে তুলে দেন।
সেই পায়ের ছাপ নিয়ে নানা গবেষণা এতদিন ধরে চলেছে। অবশেষে গবেষকেরা জানালেন এইসব পায়ের ছাপ ডাইনোসরেরই। তবে এই ডাইনোসর চেনা ডাইনোসরগুলির কোনওটিই নয়। এটি একদম নতুন প্রজাতি। এর আগে এমন ডাইনোসরও যে পৃথিবীতে বিচরণ করত তা জানা ছিলনা।
গবেষকরা জানাচ্ছেন, এই ডাইনোসরগুলি ব্রাজিলের শুকনো রুক্ষ প্রান্তরে থাকত। ক্রেটেসিয়াস যুগে এরা দিব্যি বিচরণ করত এখানে। এখন থেকে ১২৫ মিলিয়ন বছর আগে এরা পৃথিবীতে ছিল।
এদের চেহারা কিন্তু সাধারণভাবে চেনা ডাইনোসরের মত নয়। ডাইনোসর বলতেই যা চোখের সামনে ভেসে ওঠে তা হল এক অতিকায় দানবাকৃতি পশু। এই পায়ের ছাপগুলি পরীক্ষা করে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন এরা ঠিক উল্টো।
এদের চেহারা ছিল ছোট। আর প্রবল গতিতে এরা ছুটতে পারত রুক্ষ মরু প্রান্তর দিয়ে। নতুন আবিষ্কার হওয়া এই ডাইনোসরের নাম দেওয়া হয়েছে ফার্লোউইচনাস ব়্যাপিডাস।