জেলে বন্দি ছিল স্থানীয় ২ দুষ্কৃতি গোষ্ঠীর লোকজন। যা নিয়ে তাদের মধ্যে বন্দি অবস্থাতেই চাপানউতোর চলছিল। গত সোমবার তা ভয়ংকর চেহারা নেয়। তখন সকাল। জেলবন্দিরা ব্রেকফাস্ট করতে বসেছিল। সেই সময় এক পক্ষের বন্দিরা অন্য পক্ষেরও ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাদের একটি সেলে তাণ্ডব তালাতে শুরু করে। আগুন ধরিয়ে দেয়।
পুলিশ জানাচ্ছে, ২ পক্ষের হাতেই ধারালো অস্ত্র ছিল। তা নিয়েই একে অপরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এলোপাথাড়ি কোপ পড়তে থাকে। এদিকে তখন দাউদাউ করে জ্বলছে বন্দিদের জন্য তৈরি একটি সেল। চারদিক ধোঁয়ায় ভরে গেছে। তারমধ্যেই চলছে সংঘর্ষ। এত বন্দি এই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে যে সংঘর্ষে লাগাম দিতে বাইরে থেকে পুলিশ আনতে হয়।
সংঘর্ষ দফায় দফায় হতে থাকে। প্রায় ৫ ঘণ্টা চলে এই পরিস্থিতি। পরে পুলিশের বিশাল বাহিনী অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও ততক্ষণে ৫৭ জনের প্রাণ গেছে। জেলের বিভিন্ন জায়গা থেকে ১৬টি মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ধারালো অস্ত্রের কোপে তাদের মুণ্ড ধড় থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়েছিল। সব মিলিয়ে মৃতদেহের সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৭টি। অনেকেই আবার ধোঁয়ায় দম আটকে মারা যায়। অনেকের শরীরে গভীর ক্ষত। বেশ কয়েকজন আহতকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাজিলের পারা এলাকার একটি জেলে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা