মারণ ব্যাধি ক্যানসার। তারমধ্যে আবার স্তন ক্যানসার হুহু করে ছড়াচ্ছে মহিলাদের মধ্যে। অনেকেই আগাম কিছু জানতে পারেননা। কিন্তু ক্যানসার স্তনে ছড়িয়ে পড়ার পর যখন জানতে পারেন তখন তার চিকিৎসা কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই স্তন কেটে বাদ দিতে হয়। যা হয়েছিল মেক্সিকোর তরুণ জুলিয়ান রিওসের মায়ের ক্ষেত্রেই। মায়ের সঙ্গে ঘটে যাওয়া সেই ঘটনা মনে দাগ কেটে যায় জুলিয়ানের।
সেই ঘটনা দেখার পরই জুলিয়ানের মাথায় আসে এমন কিছু করতে হবে যাতে স্তন ক্যানসার ছড়িয়ে পড়ার আগেই জানা যাবে কোনও মহিলার স্তন ক্যানসারের সম্ভাবনা আছে কিনা। সেই ভাবনা থেকেই জুলিয়ান বানিয়ে ফেলেছেন ইভা ব্রা কাপ। এই ব্রা কাপটি সরাসরি যুক্ত থাকবে একটি মোবাইল অ্যাপের সঙ্গে। সেই অ্যাপের সাহায্যে মোবাইলে চলে যাবে কোনও মহিলার স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি আছে কিনা তার তথ্য। তবে এটি এখনও বাজারে বিক্রি হচ্ছে না। এখনও এটি গবেষণার পর্যায়ে। তবে ২০১৯-এ ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে উৎরোতে পারলে এটি বাজারে এসে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল।
কী এই ইভা ব্রা কাপ? ইভা ব্রা কাপ মহিলাদের সাধারণ অন্তর্বাসের মধ্যেই ফিট হতে পারা একটি কাপ। ব্রায়ের তলায় এটিকে পরে নিতে হবে। যা স্তনের সঙ্গে সম্পূর্ণ লেগে থাকবে। কিন্তু স্তনকে কোনওভাবে চেপে দেবে না বা সঙ্কুচিত করবে না। এর ফলে কোনও মহিলা এই কাপ পরলে স্তনে ব্যথা পাবেননা। আবার এই ব্রা কাপ পরলে কোনও বাড়তি উত্তাপও অনুভূত হবে না। ফলে সেদিক থেকেও মহিলার নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন।
কিন্তু এই কাপের গায়ে লেগে থাকা প্রায় ২০০টি বায়োসেন্সর তাদের কাজ নিজের মত শুরু করে দেবে। ফলে ৪০ বছরের কম বয়সী মহিলারাও অনায়াসে এই কাপ ব্যবহার করতে পারেন। কাপটি যে সারাক্ষণ ব্রায়ের তলায় রাখতে হবে এমনও নয়। রাখতে হবে মাত্র ৫ মিনিট। আর তাতেই ওই কাপ মোবাইলে পাঠিয়ে দেবে যাবতীয় প্রয়োজনীয় তথ্য। যেমন স্তনের তাপমাত্রা, স্তনের টিস্যুর ঘনত্ব, স্তনের রক্ত সঞ্চালন পরিস্থিতি সহ নানা বিষয়। যা থেকে পরিস্কার হয়ে যাবে ওই মহিলার স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি আছে কিনা।
যদিও এই ইভা ব্রা কাপ এখন কোনও দোকানে পাওয়া যাবে না। এখনও এটি গবেষণার স্তরেই রয়েছে। ২০১৯ সালে এটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হবে। সেই পরীক্ষায় উতরোলে তারপরই হয়তো এই ব্রা কাপ বাজারে মিলবে। তবে এটা সকলেই মেনে নিচ্ছেন, ইভা ব্রা কাপ সফলভাবে বাজারে এলে বিশ্ব জুড়ে মহিলাদের ক্ষেত্রে স্তন ক্যানসারের মত মারণ ব্যাধির আগাম আঁচ পাওয়ায় যুগান্ত সৃষ্টি হবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা