ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ভাঙন কি শুরু হয়ে গেল? আপাতত সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে বিশ্বজুড়ে। ব্রেক্সিট সেই বার্তাই দিল মনে করছেন অনেকে।
১৯৯৩ সালে জন্ম নেওয়া ইউরো ইউরোপের খোলনলচে বদলে দিয়েছিল। এক মুদ্রা, ভিসা ছাড়া সদস্য রাষ্ট্রদের মধ্যে যাতায়াত, সদস্য রাষ্ট্রদের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি। মোটকথা একগুচ্ছ সম্ভাবনাকে হাতিয়ার করে জন্ম নিয়েছিল ইউরো। ক্রমে বেড়েছে সদস্য সংখ্যা। বেড়েছে শক্তি। একসময়ে ২৮টি রাষ্ট্রের এই জোট ইউরোপের অর্থনীতির একটা অন্যতম হাতিয়ার হয়ে ওঠে।
কিন্তু ইউরো বড় ধাক্কা খায় গ্রিসের আর্থিক সংকটে। মোটা অঙ্কের সাহায্যের পাশাপাশি ইউরোপীয় অর্থনীতির ওপর গ্রিসের প্রভাব ক্রমশ ইউরোর ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেয়। ইউরো ছেড়ে নিজের দেশের অর্থনীতিকে বাঁচানো অনেক বেশি মূল্যবান হয়ে ওঠে ইউরোপের দেশগুলির কাছে।
মূলত এই সময় থেকেই ইউরো ছাড়ার একটা ভাবনা অনেক রাষ্ট্রের মধ্যেই চোখে পড়ে। কারণ দেশের অর্থনীতির বেহাল দশায় ইউরোর নামে অন্য দেশকে সাহায্য করার জন্য গোছা গোছা অর্থ প্রদান অনেক রাষ্ট্রই মেনে নিতে পারছিল না। ব্রেক্সিটপন্থীরা সেই মনোভাবকেই ব্যালটে এনে ফেলেছেন।
হতে পারে ২৮টা দেশের মধ্যে শুধু ব্রিটেনই আজ বেরিয়ে গেল। কিন্তু ব্রিটেনের এই বেরিয়ে যাওয়া বাদবাকি সদস্য রাষ্ট্রদের উৎসাহ যোগাবে না তো! আপাতত সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে ইউরোপের আনাচে কানাচে।