সন্ত্রাসবাদকে কোনও নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে বেঁধে দেওয়া যায়না। নির্দিষ্ট কোনও অঞ্চলকে যুক্তও করা সম্ভব নয়। কোনও দেশের সঙ্গেও এর আলাদা করে যোগ নেই। এদিন পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে এমনই দাবি করলেন চিনের মুখপাত্র। বরং তাঁর দাবি, সন্ত্রাস মোকাবিলায় পাকিস্তান যথেষ্ট সচেষ্ট। চিন যে পাকিস্তানকে মদত দিচ্ছে এমন দাবি বারবার সামনে এসেছে। কিন্তু এমন খোলাখুলি পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ায়নি তারা। কিন্তু গোয়ায় হওয়া ব্রিকস সম্মেলনে যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বারবার সন্ত্রাসবাদকে কড়া হাতে দমন এবং পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদ প্রীতির দাবি করে সরব হয়েছেন, সেখানে চিনের এমন মন্তব্য কার্যতই ব্রিকস গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলিকে পাশে পেতে ভারতের মরিয়া চেষ্টার বিরুদ্ধে গেল।
যদিও পাকিস্তানের নাম না করেও সন্ত্রাস মোকাবিলায় ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে রাশিয়া। কিন্তু চিন সেসব রাখঢাকের তোয়াক্কা না করেই জল্পনাকে বাস্তব রূপ দিল এদিন। বুঝিয়ে দিল ভারত যাই বলুক পাকিস্তানের পাশে তারা আছে। ঢাকার চেষ্টা করল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে মদতের অভিযোগ। এদিকে এদিন ফের সন্ত্রাসবাদ প্রশ্নে একবার পাকিস্তানকে সতর্ক করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। পাক সরকারকে উদ্দেশ্য করে রাজনাথ এদিন বলেন, এবার পাকিস্তান সন্ত্রাসের কারখানায় তালা ঝোলাক। পাকিস্তান চাইলে এ ব্যাপারে তাদের পূর্ণ সহযোগিতা করতে ভারত প্রস্তুত।