বিয়ের দিন মৃত কন্যাই মাকালী, প্রতিষ্ঠিত হল মেয়ের নামে মায়ের মন্দির
মাত্র ৯ বছর বয়েসেই তার বিবাহের আয়োজন করা হয়। বিবাহের দিন মেয়েটি এয়োস্ত্রীদের সঙ্গে গঙ্গাস্নানে গিয়ে হঠাৎই ডুবে যায় সকালে।
শ্যামনগর স্টেশনের কাছেই সেকালের মূলাজোড় গ্রাম। ব্রহ্মময়ী কালী বিশেষভাবে প্রসিদ্ধিলাভ করেছে এখানে। ভাগীরথী তীরে কালী মন্দিরটি উদ্যানবেষ্টিত। মন্দিরপ্রাঙ্গণে রয়েছে ১২টি শিবমন্দির। কালী মন্দিরটি নবরত্ন শিল্পশৈলীতে নির্মিত। কালী মন্দিরসহ শিবমন্দিরগুলি সব পশ্চিমমুখী।
গর্ভ মন্দিরে স্থাপিত প্রসন্ন মুখমণ্ডলের দেবী বিগ্রহটি কালোপাথরের নির্মিত। উচ্চতায় প্রায় ফুট তিনেক। দেবী স্বর্ণালঙ্কারভূষিতা, সবসনা।
দেবীমন্দির স্থাপনের অতীত কাহিনি এই রকম। কলকাতার পাথুরিয়াঘাটার গোপীমোহন ঠাকুরের মেয়ে ছিল ব্রহ্মময়ী। মাত্র ন’বছর বয়েসেই তার বিবাহের আয়োজন করা হয়।
বিবাহের দিন ব্রহ্মময়ী এয়ো স্ত্রীদের সঙ্গে গঙ্গাস্নানে গিয়ে হঠাৎই ডুবে যায় সকালে। কলকাতার গঙ্গাঘাট থেকে স্রোতের টানে শবদেহ ভেসে আসে মূলাজোড়ের ঘাটে।
সেই রাতেই গোপীমোহন কালীর স্বপ্নাদেশে জানতে পারেন, স্বয়ং দেবীই কন্যারূপে এতদিন ছিলেন গোপীমোহনের ঘরে। সুতরাং শোক না করে তিনি যেন মূলাজোড়ে ‘ব্রহ্মময়ী’ নামে একটি কালীমন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর গোপীমোহনই দেবীমন্দির স্থাপন ও কন্যাজ্ঞানে দেবী পুজোর আয়োজন করেন। সেই পুজো চলে আসছে আজও।