প্রয়াত চিত্রপরিচালক বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত
ঘুমের মধ্যেই ঘুমের দেশে পাড়ি দিলেন পরিচালক বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত। ৭৭ বছর বয়সে চলে গেলেন তিনি। বাংলা চলচ্চিত্র জগতে শোকের ছায়া।
চলে গেলেন উত্তরা, তাহাদের কথা-র পরিচালক বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত। বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণ কলকাতায় তাঁর বাসভবনে মৃত্যু হয় বাংলার এই প্রথমসারির চিত্র পরিচালকের। ঘুমের মধ্যেই মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর।
বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি কিডনির অসুখে ভুগছিলেন। তাছাড়া ছিল বয়সজনিত কিছু সমস্যা। বুদ্ধদেববাবুর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুদ্ধদেববাবুর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে আসে টলিপাড়ায়।
পুরুলিয়ায় কেটেছে বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর শৈশব। তারই ছাপ বোধহয় বারবার উঠে এসেছে তাঁর সিনেমায়। পুরুলিয়ার মাটির কথা, জীবনের কথা তাঁর ক্যামেরায় প্রাণ পেয়েছে।
‘উত্তরা’ ও ‘স্বপ্নের দিন’ সিনেমার জন্য পেয়েছেন সেরা পরিচালকের জাতীয় পুরস্কার। এছাড়া সেরা সিনেমা হিসাবে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর ৫টি সিনেমা, ‘বাঘ বাহাদুর’, ‘চরাচর’, ‘লাল দরজা’, ‘মন্দ মেয়ের উপাখ্যান’ এবং ‘কালপুরুষ’।
সেরা বাংলা সিনেমা হিসাবে তাঁর ২টি সিনেমা ‘তাহাদের কথা’ এবং ‘দূরত্ব’ জাতীয় পুরস্কার জিতে নিয়েছে। উত্তরা সিনেমায় তাপস পাল বা তাহাদের কথা সিনেমায় মিঠুন চক্রবর্তীর মত নায়কের চেনা অভিনয়ের বাইরে তাঁদের কাছ থেকে একদম অন্য অভিনয় বার করে নিয়েছিলেন বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত।
সিনেমার জন্য তাঁর পরিচিতি হলেও বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত ছিলেন একজন বিশিষ্ট কবি। তাঁর লেখা কাব্যগ্রন্থ রোবটের গান, হিমযোগ, ছাতা কাহিনি, কফিন কিম্বা স্যুটকেশ ও গভীর আড়ালে বাংলার পাঠকমহলকে ছুঁয়ে গেছে। তাঁদের ভাবিয়েছে।
বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর মৃত্যু বাংলা সিনেমা জগতের একটা অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটাল। তাঁর মৃত্যু অবশ্যই বাংলা সিনেমা জগতে এক অপূরণীয় ক্ষতি।