এই গ্রামে কুমিরদের পিঠে চড়ে বেড়ায়, সাঁতার কাটে কিশোর কিশোরীরা
এ এমন এক জায়গা যেখানে কুমিরকে অনেকটা বাড়িতে পোষা গরু, ছাগলের মত করে দেখা হয়। কুমিরদের সঙ্গে এখানকার মানুষের সখ্যতা বিশ্ববিখ্যাত।
মানুষের সঙ্গে গরু, ছাগল, ভেড়ার মত গৃহপালিত পশুর সখ্যতা সকলের জানা। কিন্তু হিংস্র পোষ না মানা পশুদের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক কোনও কালেই মধুর ছিলনা। একে অপরের শত্রুর মতই তাদের মুখোমুখি হয়েছে। কুমির তেমনই এক প্রাণি। যার সঙ্গে মানুষের সখ্যতা ভাবাই যায়না। কুমির দেখলে মানুষ তার থেকে দূরে থাকারই চেষ্টা করেন।
এখনও ভারতের অনেক জায়গায় কুমিরে টেনে নিয়ে যাওয়ার কথা শোনা যায়। সেই কুমিরের পিঠে চড়ে গ্রামের ছেলেমেয়েরা বেড়াতে বের হয়, এমন শুনলে তাই বাস্তবিকই চমক লাগে।
কিন্তু এটাই তো হয়। পৃথিবীতে এমনও একটি জায়গা রয়েছে যেখানে রয়েছে অতি বিশাল চেহারার শতাধিক কুমির। সেখানকার বাসিন্দারা কুমিরের সঙ্গে এক সুন্দর সখ্যতার জীবনযাপন করেন।
তাঁরা কুমিরদের খাওয়ান। কুমিররাও তাঁদের কখনও কোনও ক্ষতি করেনা। বরং গ্রামের কমবয়সীদের পিঠে নিয়ে বেড়ায়। কুমিরের পিঠে চেপে তারা নদীর জলে ভেসে বেড়ায়।
আফ্রিকার বুরকিনা ফাসো নামে দেশে একটি গ্রাম রয়েছে। নাম বাজোল। এই গ্রামে গেলে মানুষ আর কুমিরের এক অবাক করা সখ্যতা দেখতে পাওয়া যায়।
এখানে শত শত বছর ধরে কুমির আর মানুষ একসঙ্গে বসবাস করে। এখানকার বাসিন্দারা কুমিরদের মুরগি খেতে দেন। কুমিরদের থেকে কখনও কোনও ক্ষতি হয়েছে এ গ্রামের কারও, তেমন উদাহরণ নেই।
বরং পর্যটকেরা গেলে এখানকার বাসিন্দারা কুমিরের সঙ্গে নানা ভঙ্গিতে ছবি তোলেন। পৃথিবীতে এমন একটিই জায়গা রয়েছে যেখানে কুমির আর মানুষ এক পরিবারের মত করে বসবাস করে।