World

এ গ্রামের বালক কিশোরদের পিঠে চড়িয়ে বেড়াতে নিয়ে যায় কুমির

এমন গ্রাম হয়তো পৃথিবীতে একটাই আছে। যেখানকার মানুষের সঙ্গে গৃহপালিত পশুর মতই বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থান করে কুমির। এখানকার ছোটরা কুমিরের পিঠে বেড়াতে যায়।

ছোটদের বেড়ানোর হলে তারা গরুর গাড়িতে যেতে পারে। ঘোড়ার পিঠে চড়তে পারে। গাধার পিঠেও চড়া যায়। তা বলে কুমির! এ দৃশ্য কি সত্যিই বাস্তবে সম্ভব! কুমির পৃথিবীর অনেক প্রান্তেই রয়েছে। মানুষ কিন্তু তাদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখে।

যে কোনও সময় তারা মানুষের ক্ষতি করে দেয়। সেখানে এ গ্রামে গত ৭০ বছরে কুমির কারও কোনও ক্ষতি করেনি। এ গ্রামে যেমন অনেক মানুষ থাকেন। তেমনই অনেক কুমিরও থাকে।


কুমিররা এখানে গৃহপালিত পশুর মত একসঙ্গে থাকে। গ্রামবাসীরা তাদের খাওয়ান। তাদের সঙ্গেই ঘোরাফেরা করেন। গ্রামের বালক বালিকা, কিশোর কিশোরীরা কুমিরের পিঠে চড়ে গ্রামে ঘোরে। কুমিরের পিঠে চড়ে জলে ঘুরে আসে।

কুমির তাদের পিঠে নিয়ে গভীর জলে ঘুরিয়ে আনে। কিন্তু তাদের কোনও ক্ষতি হতে দেয়না। এমন চমকে দেওয়া গ্রামটি রয়েছে আফ্রিকার বুরকিনা ফাসো নামে দেশে। গ্রামের নাম বাজোল। কুমিরের সঙ্গে মানুষের এই আজব সহাবস্থানের জন্য এ গ্রাম পৃথিবী জুড়েই খ্যাতি পেয়েছে।


Burkina Faso
বুরকিনা ফাসো-র গ্রামে কুমির সওয়ারি, ছবি – সৌজন্যে – এক্স – @AfricanHub_

ভারতেও বহু গ্রাম রয়েছে যার পাশে রয়েছে নদী। আর সেখানে রয়েছে কুমির। মাঝেমধ্যেই কিন্তু সেসব গ্রামে ঢুকে পড়ে কুমিররা। ক্ষতিও করে। সেখানে এমন এক গ্রাম গোটা বিশ্বকেই অবাক করে।

কথিত আছে বাজোলের আশপাশে একসময় প্রবল জলাভাব দেখা দেয়। তখন গ্রামের মহিলারা কুমিরদের পিছু পিছু গিয়ে একটি জলাধারের খোঁজ পান। সেখান থেকে জল পেয়ে সে যাত্রায় বেঁচে যান গ্রামবাসীরা। বলা হয় তারপর থেকেই কুমিরের সঙ্গে মানুষের এই সহাবস্থানের শুরু। যা আজও অটুট।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button