চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছেনা, বাড়ানো হল পিস্তল উৎপাদন
অর্থনীতিতে চাহিদা ও যোগানের ভারসাম্যের তত্ত্ব অনেকের জানা। সেই তত্ত্ব মেনেই বাজারে পিস্তলের বাড়তে থাকা চাহিদা মেটানোর চেষ্টা শুরু হল।
যে কোনও পণ্যের উৎপাদন দাঁড়িয়ে থাকে তার চাহিদার ওপর। চাহিদা বাড়লে উৎপাদনও বাড়ে। আর চাহিদা বেড়ে উৎপাদন কম হলে উৎপাদনকারী সংস্থাদের রাতদিন এক করে লড়াই দিতে হয় চাহিদা পূরণের।
প্রায় তেমনই পরিস্থিতি হয়েছে ব্রিটিশ অস্ত্র প্রস্তুতকারক সংস্থা ওয়েবলি অ্যান্ড স্কট-এর। উত্তরপ্রদেশের হরদোই জেলার সান্দিলায় রয়েছে সংস্থার একমাত্র কারখানা। সারা ভারতে সেখান থেকেই পিস্তল তৈরি করে পাঠানো হয়।
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে সারা ভারত জুড়ে এতদিন মাসিক চাহিদা ছিল ১৭৫ থেকে ২০০টি রিভলভারের। কিন্তু গত মাসে সেই চাহিদা লাফ দিয়ে বেড়ে ৪০০টি ছুঁয়েছে।
যার যোগান দেওয়ার মত উৎপাদন ক্ষমতা তাদের ছিলনা। তাই দ্রুত এই ব্রিটিশ সংস্থার ভারতীয় ইউনিট প্রধান সংস্থার কাছে চাহিদার কথা জানায়।
চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তাল মিলিয়ে যোগানে ভারসাম্য রাখতে ব্রিটেন থেকে দ্রুত পাঠানো হয় পিস্তল তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় মেশিন। কারণ এখানে যে মেশিন ছিল তা দিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব ছিলনা।
সঙ্গে মোটা অঙ্ক খরচ করে ইঞ্জিনিয়ারদেরও পাঠানো হয়। যাতে উৎপাদনে গতি আসে। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে পিস্তলের চাহিদা সবচেয়ে বেশি দক্ষিণ ভারত ও মধ্য ভারতের রাজ্যগুলিতে।
মাসে এখন ৪০০ পিস্তল তৈরির লক্ষ্যমাত্রা তৈরি হয়েছে। খোদ উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের মুখ্যমন্ত্রীত্বে মাফিয়ারাজে রাশ টানা সম্ভব হয়েছে বলেই মনে করছেন অনেকে। কিন্তু তা সত্ত্বেও সে রাজ্যে পিস্তলের চাহিদা বৃদ্ধি কিছুটা হলেও অবাক করছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা