অনন্য সম্মানের দোরগোড়ায় দেশের বিখ্যাত পেঁড়া, খুলছে বিদেশের দরজাও
ইতিহাসের পাতায় নাম তুলে ফেলেছে দেশের এই অনন্য স্বাদের পেঁড়া। যার সুখ্যাতি এখন দেশের সীমা পার করে পৌঁছে গেছে বিদেশেও।
একটা শহরের অর্থনীতি দাঁড়িয়ে আছে কেবল একটা মিষ্টির ওপর ভরসা করে। এমন বড় একটা দেখা যায়না। ১২০ বছরের পুরনো এর ইতিহাস। সে সময় থেকেই দেওঘরের পেঁড়ার স্বাদের সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে দেশের কোণায় কোণায়।
বারাণসীর বা মথুরার পেঁড়ারও সুনাম রয়েছে। তবে দেওঘরের পেঁড়ার নাম জগতজোড়া। এখন তো মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতেও যাচ্ছে দেওঘরের পেঁড়া। সেখানে এই পেঁড়ার বিপুল চাহিদা। বিশেষত কুয়েত ও বাহরাইন-এর মানুষ দেওঘরের পেঁড়ায় মজে আছেন।
আগামী জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী দেওঘরে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্বোধন করতে চলেছেন। বিদেশের সঙ্গে সরাসরি দেওঘরের যোগাযোগ পেঁড়ার ব্যবসায় অন্য দিশা খুলে দিতে চলেছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
ওই বিমানবন্দর চালু হলে তারপর এই পেঁড়া আরও বিভিন্ন দেশে সহজেই পৌঁছে যাবে বলে আশাবাদী এখানকার পেঁড়া ব্যবসায়ীরা। শুধু শ্রাবণ মাসেই দেওঘরের পেঁড়া ৫০ থেকে ৬০ কোটি টাকার ব্যবসা দেবে বলে প্রায় নিশ্চিত পেঁড়া ব্যবসায়ীরা।
দেওঘরের পেঁড়া এবার জিআই ট্যাগের জন্যও উদ্যোগ নিয়েছে। তাদের ১২০ বছরের প্রাচীন পেঁড়ার ইতিহাসে ভর করে দেওঘরের এই খোয়া ক্ষীর আর গুড় দিয়ে তৈরি সুস্বাদু পেঁড়া হয়তো জিআই ট্যাগ পেয়ে যাবে বলেও মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। আর তা পেয়ে গেলে এই পেঁড়ার আন্তর্জাতিক বাজারে আরও চাহিদা বাড়বে বলেই মনে করছে তারা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা