লাফিয়ে দ্বিগুণ দেশের হেরিটেজ পানীয়ের দাম, বিক্রি নয়, অন্য ভয় পাচ্ছেন বিক্রেতারা
দেশের হেরিটেজ পানীয় হিসাবে একটি পানীয়ই এখনও পর্যন্ত জিআই ট্যাগ অর্জন করেছে। যে পানীয়ে মজে যান স্থানীয় মানুষ থেকে বিদেশিরা। তার দাম এবার নতুন চিন্তা বাড়াচ্ছে।
দেশে দিশি মদের নানা ধরন রয়েছে। আদিবাসী এলাকা থেকে শুরু করে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে গ্রামাঞ্চলে গেলেও নান ধরনের দিশি মদের সন্ধান মেলে। এমনই এক দিশি মদ ফেনি। কাজু থেকে তৈরি হয় এই মদ। যা গোয়ার স্থানীয় মানুষজনের কাছে নেহাতই দিশি মদ হিসাবে জনপ্রিয়।
একটা সময় গোয়ার আম জনতা এই দিশি মদে মজে থাকতেন। এখন তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে গোয়ায় বেড়াতে আসা পর্যটকদের কাছেও ফেনির স্বাদ নেওয়া একটা আলাদা আকর্ষণের পরিণত হয়েছে।
বিদেশি পর্যটকেরাও গোয়ায় এসে ফেনি পান করে থাকেন। ভারতে এখনও যত দিশি মদই থাক না কেন, ফেনিই একমাত্র দিশি মদ যা জিআই ট্যাগ অর্জন করতে পেরেছে। গোয়া সরকার একে গোয়ার হেরিটেজ মদের তকমা দিয়েছে।
সেই ফেনির দাম এবার লাফিয়ে বাড়ল। গত বছরও যেখানে ফেনির ৩৫ লিটারের ক্যান বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার টাকায়, সেখানে তা এবার গিয়ে ঠেকেছে ৭ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকায়।
এবার অসময়ে বারবার বৃষ্টির জেরে কাজুবাদামের ফলন গোয়ায় ভাল হয়নি। কাজুর ফলন কম সরাসরি প্রভাব ফেলেছে ফেনির দামে। কারণ কম কাজুতে কম ফেনি উৎপাদন সম্ভব হয়েছে। ফলে তার দাম চড়েছে।
এদিকে এতটা দাম বৃদ্ধির ফলে ফেনির বিক্রি কমে যাওয়া নিয়ে বিক্রেতারা যতটা না চিন্তিত তারচেয়েও অনেক বেশি চিন্তিত অন্য বিষয় নিয়ে।
গোয়ায় সারা বছরই ফেনির চাহিদা তুঙ্গে তাকে। কম উৎপাদন ও দাম বৃদ্ধির হাত ধরে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বিষাক্ত ফেনি না বাজারের ছেড়ে দেয় তা নিয়ে চিন্তিত তাঁরা।
বাজারের চাহিদা মেটাতে নিচু মানের বিষাক্ত ফেনি যদি বাজারে ঢুকে পড়ে তাহলে তা মানুষের স্বাস্থ্যের পক্ষে এক চিন্তার কারণ হতে পারে বলেও মনে করছেন বিক্রেতারা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা