রাতে খিদে পেটে কেউ শুতে যাওয়ার প্রশ্নে প্রতিবেশিদের চেয়ে পিছিয়ে বাংলা
এ রাজ্য কিন্তু খিদের সূচকে পিছিয়ে পড়ল। পিছিয়ে পড়ল তারই ২ ধারের ২ রাজ্যের তুলনায়। সেখানে প্রতিবেশিরা চলে এল ১ নম্বরে।
দেশের কোন রাজ্যে খাদ্য বণ্টন কেমন, রাতে খিদে নিয়ে কেউ শুতে যান না তো? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে যে কেন্দ্রীয় খতিয়ান সামনে এল তাতে কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ পিছিয়ে পড়ল।
এ রাজ্যকে পিছনে ফেলে ১ নম্বরে উঠে এসেছে ওড়িশা। বাংলারই লাগোয়া রাজ্যে সবচেয়ে কম মানুষ না খেয়ে শুতে যান। ক্ষুধার প্রশ্নে ওড়িশা কিন্তু এ রাজ্যকে পিছনে ফেলেছে। ওড়িশার পরেই স্থান হয়েছে উত্তরপ্রদেশের। তারপর রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং গুজরাট। খোদ প্রধানমন্ত্রীর রাজ্যই রয়েছে ৪ নম্বরে।
স্পেশাল ক্যাটাগরি রাজ্যের তালিকায় আবার ১ নম্বরে উঠে এসেছে পশ্চিমবঙ্গের কাছের এক রাজ্য ত্রিপুরা। উত্তরপূর্ব ভারতের রাজ্য, হিমালয় লাগোয়া রাজ্য বা দ্বীপ রাজ্যের যে বিশেষ তালিকা তৈরি হয়েছে তাতে ত্রিপুরা ১ নম্বরে। তার পিছনেই রয়েছে হিমাচল প্রদেশ। তারপর রয়েছে সিকিম এবং নাগাল্যান্ড।
জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় এই রাজ্য ভিত্তিক ব়্যাঙ্কিং সূচকটি মঙ্গলবার প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় খাদ্য ও গণ বণ্টন মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। এমন কোনও তালিকা এই প্রথম ভারতে প্রকাশিত হল। প্রথম প্রকাশিত এই তালিকায় ওড়িশা ও ত্রিপুরা ১ নম্বর স্থান দখল করল।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, এমন তালিকা প্রতিবছর এবার থেকে প্রকাশ করা হবে। খাদ্য সুরক্ষায় কোন রাজ্য কাকে পিছনে ফেলছে এই তালিকায় তা প্রকাশিত হবে। এতে রাজ্যগুলির মধ্যেও আরও ভাল কাজ করার প্রবণতা তৈরি হবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা