অস্বাভাবিকভাবে কম বৃষ্টিপাতে তলানিতে কৃষি উৎপাদন, দাম বাড়ার অশনিসংকেত
যা বৃষ্টি সাধারণভাবে মধ্য জুলাইয়ের মধ্যে হয় তার চেয়ে ৬২ শতাংশ কম বৃষ্টি পেয়েছে গাঙ্গেয় বাংলা। ফলে কৃষি উৎপাদন চরম ধাক্কা খেয়েছে।
খতিয়ান বলছে ১১ জুলাইয়ের মধ্যে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টিপাত হয় ১৭০ মিলিমিটার। সেখানে এবার বৃষ্টি হয়েছে ৬৫ মিলিমিটার। যার অর্থ হল এবার ৬২ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। যার জেরে এখানে কৃষিকাজ চরম ধাক্কার মুখে পড়েছে।
যে পূর্ব বর্ধমানকে এ রাজ্যের শস্যভাণ্ডার বলে মনে করা হয়, সেই পূর্ব বর্ধমানে অনেক জমি শুকিয়ে রয়েছে। সেখানে ধান রোপণ করাই অসম্ভব।
এবার গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বড় ধাক্কার মুখে পড়েছে আউশ ধানের চাষ। বীজ বপন করাই সম্ভব হচ্ছেনা বৃষ্টির অভাবে। ধান চাষে এমনিতেই প্রচুর জলের প্রয়োজন হয়। সেই জলের জন্য কৃষকরা সবচেয়ে বেশি তাকিয়ে থাকেন ভাল বর্ষার দিকে।
এবার সেটাই হচ্ছেনা। বৃষ্টি অমিল। ধান চাষ যদি এভাবে ধাক্কা খায় তাহলে আগামী দিনে চালের দাম বাড়তে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
যদিও এখনও সব আশা শেষ হয়ে যায়নি। কারণ বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গে ধানের বীজ রোপণের প্রক্রিয়া অগাস্টের মাঝামাঝি পর্যন্ত চলে।
তাই এখনও যে সময় রয়েছে তাতে যদি এই বৃষ্টির অভাবটা পুষিয়ে যায় ভাল বর্ষায় তাহলে পরিস্থিতি অতটাও ঘোরাল হবেনা। কিন্তু যদি তাও না হয় তাহলে অবশ্যই কৃষি উৎপাদন নিয়ে বড় চিন্তার কারণ রয়েছে।
প্রসঙ্গত পশ্চিমবঙ্গের উত্তরভাগে কিন্তু ভাল বর্ষা হচ্ছে। রাজ্য লাগোয়া অসমে বন্যা ভয়ংকর আকার নিয়েছে। সেখানে অতিবৃষ্টির জেরে মানুষের জীবন বিপন্ন।
অন্যদিকে লাগোয়া বাংলাদেশেও বন্যা পরিস্থিতি চরম আকার নিয়েছে। সেখানে একটি পকেটের মত বৃষ্টিহীন দিন কাটাচ্ছে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা