রমরম করে ফিরছে ঠোঙার ব্যবহার, একেবারেই খুশি নন বিক্রেতারা
বন্ধ হয়েছে ১ বার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের প্যাকেট। ফলে শহরের বাজারে ঠোঙা ফিরে আসছে রমরম করে। কিন্তু তাতে একেবারেই খুশি নন বিক্রেতারা।
প্লাস্টিক দূষণ নিয়ে যখন বিশ্বজুড়ে মানুষকে সচেতন করার কাজ চলছে, তখন তা নিয়ে এক ধাপ এগিয়ে গেছে ভারত। সরকারিভাবে নিয়ম করে ১ বার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক এ দেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার নিষিদ্ধ হওয়ায় দেশজুড়ে চলা একচেটিয়া প্লাস্টিকের প্যাকেট ব্যবহার বন্ধ হয়েছে। ৭৫ মাইক্রনের নিচের প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ হওয়ায় বিক্রেতারা এখন খরিদ্দারকে জিনিস দেওয়ার জন্য বিকল্প হিসাবে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন ঠোঙায়।
একটা সময় ছিল যখন ক্রেতাদের হাতে বিক্রেতারা ঠোঙায় করে জিনিস তুলে দিতেন। কিন্তু ঠোঙাকে রাতারাতি বাজার থেকে মুছে দিয়েছিল প্লাস্টিকের প্যাকেট।
কম খরচে প্লাস্টিকের প্যাকেট বিক্রেতা তো বটেই এমনকি ক্রেতাদেরও পছন্দের হয়ে উঠেছিল। এখন সেখানেই ছেদ পড়ায় বিক্রেতারা বাধ্য হয়ে ঠোঙায় ফিরছেন কার্যত ঢোঁক গিয়ে। তাঁরা একেবারেই খুশি নন ঠোঙা নিয়ে।
কলকাতার বিভিন্ন বাজারের বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, গত মাস পর্যন্তও প্রয়োজনে ঠোঙা কিনতে তাঁদের গুনতে হত কেজি প্রতি ৩৫ টাকা। সেখানে প্লাস্টিক বন্ধ হওয়ার পর ঠোঙার দাম এক লাফে পৌঁছে গেছে কেজি প্রতি ৫০ টাকা। ফলে লাভের গুড় পিঁপড়েয় খাচ্ছে।
যেমন ১ ডজন ডিম বিক্রি করে বিক্রেতার ৫ টাকা লাভ থাকে। কিন্তু ঠোঙায় সেই ডিম দিতে গিয়ে তাঁদের আরও ৫০ পয়সা বেরিয়ে যাচ্ছে। ফলে লাভ কমছে।
এই পরিস্থিতিতে পুরু প্লাস্টিকের প্যাকেট অন্য পথ। কিন্তু তারও দাম দিয়ে বিক্রেতারা কুলিয়ে উঠতে পারছেন না বলেই দাবি করছেন তাঁরা।