মধ্যবিত্তের পাত থেকে বাদ পড়ার অপেক্ষায় আটার রুটি
ভাত, রুটি খেয়ে জীবনধারণটাও যে আর তথাকথিত দরিদ্র মানুষের আয়ত্তে থাকছে না তা টের পাচ্ছেন তাঁরা। পাত থেকে উধাও হতে পারে আটার রুটি।
ভাত আর রুটি, এই ২টি প্রধান খাবারের ভরসায় এখনও দেশবাসীর পেট ভরে। কম রোজগারের মধ্যেও এই ২টি খাবার কার্যত তাঁদের সুস্থভাবে বাঁচিয়ে রেখেছে। এবার সেখানেও অশনিসংকেত।
চালের দাম যেভাবে চড়েছে তাতে মধ্যবিত্তের পকেটে টান তো আগেই পড়েছিল। এবার রুটিটাও তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে। মোটামুটি একটা দামে আটকে থাকা আটার দাম এবার তরতরিয়ে বাড়তে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
ভারতে যে অংশ গম চাষের জন্য বিখ্যাত সেখানে এবার এতটাই তাপপ্রবাহ হয়েছে যে গমের ফলন ধাক্কা খেয়েছে। যত উৎপাদন আশা করা হয়েছিল তার চেয়ে কম উৎপাদন হয়েছে।
এদিকে গমের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত মানুষজনের দাবি, গম দেশে কম উৎপাদন হওয়া সত্ত্বেও সঠিক সময়ে সরকার গম রফতানিতে লাগাম দেয়নি। ফলে প্রচুর গম দেশ থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। এখন যে গম রয়েছে তা চাহিদার তুলনায় কম।
ফলে চাহিদা মত যোগান সমান তালে হচ্ছেনা। যা গমের দামকে তরতর করে বাড়িয়ে দিচ্ছে। গমের পাইকারি বাজার দর যদি বাড়তে থাকে তাহলে তার আঁচ যে খুচরো বাজারে আটার ওপর পড়বে তা বলাই বাহুল্য।
এখনই আটার দাম কিছুটা হলেও বেড়েছে। তা আগামী দিনে আরও অনেকটা বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। গত কয়েকদিনে দিল্লি সহ বিভিন্ন জায়গার পাইকারি বাজারে গমের দাম যেভাবে প্রতিদিন বেড়েছে তাতে প্রমাদ গুনছেন তাঁরা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা