সময় বদলেছে, অনেকটাই কমে গেল ট্যাবলেটের চাহিদা
মানুষ এখন ট্যাবলেট কেনা অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছেন। ফলে চাহিদাও অনেকটা কমে গেছে। সময় বদলের হাত ধরেই এই পরিস্থিতি বলে মনে করা হচ্ছে।
ট্যাবলেট কেনা কমিয়ে দিয়েছেন মানুষজন। শুধু ভারত বলেই নয়, সারা বিশ্বজুড়েই ট্যাবলেট কেনা কমেছে। যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে ট্যাবলেট তৈরির ব্যবসায়।
যেখানে গত ২ বছরে ট্যাবলেটের চাহিদা তরতর করে চড়েছিল, সেখানে এখন তা সেই গতিতেই তরতর করে নামছে। গত ২ বছরে বিশ্ব যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছিল, সেই পরিস্থিতির এখন অনেকটাই বদল হয়েছে।
২০২০ সালের আগের পরিস্থিতি ফিরে আসছে। মানুষের ভীতি অনেকটাই কমেছে। বিশ্বে থাবা বসানো ব্যাধি বিদায় না নিলেও তাকে নিয়ে যে দুশ্চিন্তা প্রতিটি মানুষের মনে দানা বেঁধেছিল তা এখন অনেকটাই কমে গেছে।
এদিকে স্বাভাবিক জীবনে ক্রমে স্কুল খুলেছে, অফিস কাছারি খুলেছে। স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে ব্যবসা। সব মিলিয়ে ওয়ার্ক ফ্রম হোম থেকে বাড়ি থেকে স্কুল সবই কমেছে। আর তার জেরে কমেছে ট্যাবলেটের মত যন্ত্রের প্রয়োজন।
অনলাইনে স্কুলের ক্লাসের কথা মাথায় রেখে বহু পরিবারই গত ২ বছরে ট্যাবলেট কিনে দিয়েছিলেন ছাত্রছাত্রীদের। স্কুল বলেই নয়, অনলাইনে কোনও কোচিং বা শিক্ষামূলক ভিডিও-র জন্য ট্যাবলেটে ভরসা করছিলেন অনেকে। আবার অনলাইন অফিসের জন্যও এর প্রয়োজন পড়ছিল।
সেসব এখন অনেকটা কমেছে। বিভিন্ন দেশের চেহারাটা কিন্তু একই রকম। তাছাড়া গত ২ বছরে বহু পরিবারই ট্যাবলেট কিনে ফেলেছে। ফলে যাঁরা কিনতে চাইছিলেন তাঁদের অনেকের কাছেই ট্যাবলেট রয়েছে।
আর যাঁদের নেই তাঁদের এখন বদলে যাওয়া সময়ের হাত ধরে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরা বিশ্বে ট্যাবলেট কেনার দরকার পড়ছে না। যার জেরে বড় ধাক্কার মুখে পড়েছে স্যামসাং, লেনোভো, এসার-এর মত ট্যাবলেট প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা