অগাস্টের মাঝামাঝি থেকে দুধ খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন দেশের মানুষ
দুধ খাওয়া কমিয়ে দেওয়ার প্রবণতা মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই হুহু করে বেড়েছে। দেশজুড়েই এই প্রবণতা নজর কাড়ছে। দুগ্ধজাত খাবার খাওয়াও কমছে।
ভারত এমন একটা দেশ যেখানে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দুধ উৎপাদন হয়। কারণ ভারতই হল বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া দেশ। কিন্তু অগাস্টের মাঝামাঝি সময় থেকে দেখা যাচ্ছে প্রতি ৩টি পরিবারের মধ্যে ১টি করে পরিবার দুধ খাওয়া কমিয়ে দিয়েছে। যা অবশ্যই নজর কাড়া।
দুধ শিশু খাদ্য তো বটেই, সেইসঙ্গে দুধ এবং দুগ্ধজাত বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য যেমন, পনির, দই, মাখন, ঘি, বাটারমিল্ক খাওয়া কমে যাওয়া নজর কাড়ছে। এর কারণও পরিস্কার হয়ে গেছে।
গত মার্চ মাসে দুধের দাম প্রতি ৫০০ মিলিলিটারে ২ টাকা করে বাড়ায় আমূল সহ দেশের বিভিন্ন দুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি। এরপর ফের ১৭ অগাস্ট থেকে দুধের দাম ২ টাকা করে বেড়ে যায়। এক বছরের মধ্যে ২ বার ২ টাকা করে বেড়ে মার্চের আগে থাকা দুধের প্যাকেটের দাম ৪ টাকা করে বাড়ে।
একেই দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধির ধাক্কা সামাল দিতে হিমসিম খাচ্ছেন মানুষজন। তার ওপর দুধের এই দাম বৃদ্ধির ধাক্কা সামাল দিতে পারেননি অনেকে। ফলে প্রতি ৩ জনে ১ জন দুধ খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন।
কেউ কমদামী দুধের দিকে ঝুঁকেছেন। কেউ বাড়িতে দুধ আনা কমিয়েছেন। অবশ্য এমন নয় সকলেই কমিয়ে দিয়েছেন। হিসাব বলছে ৬৮ শতাংশ মানুষ দাম বৃদ্ধির পরেও তাঁদের বাড়িতে যে পরিমাণ দুধ আসত তা থেকে নড়েননি। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা