ক্যারি ব্যাগের দাম নেওয়ায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানার মুখে শপিং মল
একটি শপিং মলকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানার মুখে পড়তে হল। এক গ্রাহককে ২৫ হাজার টাকা দিতে হবে তাদের। তাও ৩০ দিনের মধ্যে।
শপিং মলে ঢুকে তো অনেকেই শপিং করেন। একটি টিশার্ট কেনার জন্য পদ্মলোচন রাউতও গিয়েছিলেন শপিং মলে। দেখেশুনে তাঁর একটি টিশার্ট পছন্দ হয়। দাম ২৪৯ টাকা। তিনি সেটি নিয়ে কাউন্টারে হাজির হন।
সেখানে তাঁকে কাউন্টারে থাকা ব্যক্তি জিজ্ঞেস করেন ক্যারি ব্যাগ চাই কিনা। তিনি হ্যাঁ করে দেন। কাউন্টার থেকে তাঁকে ক্যারি ব্যাগে টিশার্টটি দিয়ে দেওয়া হয়। বিল হাতে পাওয়ার পর পদ্মলোচন রাউত দেখেন তাঁর কাছ থেকে ওই ক্যারি ব্যাগের জন্য ৬ টাকা বাড়তি নিয়েছে শপিং মলটি।
পদ্মলোচন রাউত বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি। সোজা হাজির হন উপভোক্তা বিষয়ক দফতরে। পদ্মলোচনবাবুর অভিযোগ, ক্যারি ব্যাগের জন্য যে বাড়তি দাম নেওয়া হবে তা তাঁকে জানাননি কাউন্টারের ওই কর্মী। ওই শপিং মলের কোথাও টাঙানো ছিলনা যে ক্যারি ব্যাগ নিলে আলাদা টাকা গুনতে হবে গ্রাহককে।
তা সত্ত্বেও কেন তাঁর কাছ থেকে এই ৬ টাকা বাড়তি নিল শপিং মলটি? পদ্মলোচন রাউতের অভিযোগ গ্রহণ করে উপভোক্তা বিষয়ক দফতর। সেখান থেকে ওই শপিং মলের কাছে নোটিসও পাঠানো হয়।
কিন্তু শপিং মলটি কোনও উত্তর জানায়নি। এরপর বিষয়টি সবদিক থেকে খতিয়ে দেখার পর ওড়িশার ক্রেতা সুরক্ষা আদালত রায় দেয় যে ক্যারি ব্যাগের জন্য বাড়তি ৬ টাকা নেওয়ার জন্য পদ্মলোচন রাউতকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হবে শপিং মলকে।
এরমধ্যে ১০ হাজার টাকা ওই ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণ বাবদ দিতে হবে এবং ১৫ হাজার টাকা বিষয়টি নিয়ে ক্রেতা সুরক্ষা দফতরে মামলার খরচ বাবদ দিতে হবে। ৩০ দিনের মধ্যে পদ্মলোচন রাউতকে ওই টাকা দিয়ে দিতে হবে শপিং মলকে। ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার কটকে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা