চিনের একচেটিয়া দাদাগিরি ভাঙতে এ দেশের দিকে তাকিয়ে আছে গোটা বিশ্ব
এ প্রয়োজন মেটাতে চিনের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয় বিশ্বকে। সেই অবস্থান থেকে তারা সরতে চাইছে। চিনকে তোয়াক্কা না করতে এ দেশেই ভরসা সকলের।
বিশ্বের অনেক দেশেরই প্রয়োজন। সে প্রয়োজন মেটায় চিন। তবে তারা তাদের মত করে যোগান দেয়। গত আড়াই বছরের পরিস্থিতির কারণে চিনই যোগান কমিয়েও দিয়েছে। চিনের এই দাদাগিরি আর মেনে নিতে পারছেনা গোটা বিশ্ব। তাই তারা চিনের বিকল্প হিসাবে ভারতের দিকে চেয়ে আছে।
গোটা বিশ্ব চাইছে ভারত একবার বিরল খনিজের যোগান শুরু করলে তারা চিনের দিকে থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। সেক্ষেত্রে বিরল খনিজ বিক্রিতে বিশ্বজুড়ে চিনের একাধিপত্য ভেঙে যাবে।
বিরল খনিজের তালিকায় মোট ১৭টি খনিজ পড়ে। যার মধ্যে রয়েছে কোবাল্ট, নিকেল, তামা, লিথিয়ামের মত খনিজ পদার্থ। এইসব খনিজ যদি ভারত থেকে উত্তোলনে গতি পায় তাহলে চিনের একাধিপত্য নষ্ট হবে। ভারতেও খনিজের এক বিশ্ব বাজার খুলে যাবে।
ভারত সরকারকে বিশ্বের এই বিরল খনিজের চাহিদা ও ভারতের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা সম্বন্ধে ইতিমধ্যেই অবহিত করেছে কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রি বা সিআইআই।
আগামী বাজেটে যাতে বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে পারে এবং সেই অনুযায়ী বিরল খনিজ উত্তোলনের বাজেটে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ করা হয় সে বিষয়ে সিআইআই-এর তরফে সরকারকে জানানো হয়েছে।
বিরল খনিজগুলি জ্বালানি তেলের প্রয়োজন কমাতে সাহায্য করে। ইলেকট্রিক গাড়ি, ব্যাটারি, স্মার্টফোন থেকে শুরু করে যুদ্ধে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তৈরি করতেও বিরল খনিজের একটা বড় ভূমিকা বিশ্বজুড়ে রয়েছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা