Business

বাড়িতে জিরে ঢোকা বন্ধ করল অনেক পরিবার, জিরে ছাড়াই হবে রান্না

জিরে ছাড়া অনেক রান্নাই হয়না। রান্নাঘরের এই অতিআবশ্যিক মশলা কিন্তু অনেক পরিবারেই খাওয়া বন্ধ। বাড়ি ঢুকছে না জিরে।

জিরে এমন এক মশলা যা যে কোনও পরিবারের রান্নাঘরের অতি আবশ্যিক মশলা। গোটা জিরে হোক বা জিরে গুঁড়ো, রান্নাঘরে এই মশলা মজুত থাকবেই। কারণ অধিকাংশ রান্নাই জিরে ছাড়া বিস্বাদ, অসম্পূর্ণ।

এবার কিন্তু সেই জিরে ছাড়াই রান্নার নতুন কোনও পথ খুঁজছেন গৃহিণীরা। কারণ বাড়িতে জিরে ঢোকা বন্ধ হয়েছে। অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির জন্য অনেক পরিবারে আনাজপাতি কেনা কমে গেছে। এবার জিরেটা অনেকে বাদ দিয়েই কোনও রকমে অন্যভাবে রেঁধে চালিয়ে নিচ্ছেন।


এছাড়া আর কিই বা করা যায়! সাধারণ মানুষ এমনিতেই টমেটো থেকে বিভিন্ন আনাজের দামে নাজেহাল। বাজারের ব্যাগে তলানিতে পড়ে থাকা কিছু বাজারই পকেট ফাঁকা করে দিচ্ছে। সেখানে জিরের দাম একটা লংজাম্প দিয়েছে।

এপ্রিল মাসেও যে জিরের দাম ৪০০ টাকা কেজি ছিল, সেই জিরে এখন সাড়ে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি। ১০০ গ্রাম জিরে কিনতে পকেট থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে ৭৫ টাকা! যা আমজনতার স্বপ্নের বাইরে।


তাই আর জিরে কেনা কার্যত সম্ভব হচ্ছেনা অনেকের। বাড়িতে জিরে ঢোকা বন্ধ। তবে শুধু জিরে বলেই নয়, দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে চারমগজের। দাম বাড়ার জন্য কোমর বাঁধছে হলুদ ও লঙ্কার গুঁড়ো। দাম বাড়তে শুরু করেছে লবঙ্গ-র। ফলে গরম মশলার দামও এবার বাড়বে বলেই আশঙ্কা।

বিক্রেতারা জানাচ্ছেন তাঁদের যেহেতু অতিরিক্ত দামে মশলা কিনতে হচ্ছে তাই তাঁদের বিক্রিও করতে হচ্ছে সেই অনুপাতে। দাম বাড়ার জন্য আরবসাগরে তৈরি হয়ে আছড়ে পরা অতিশক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়, পরিবহণ ঠিকঠাক না হওয়া এবং বর্ষার বৃষ্টিকে কাঠগড়ায় চাপাচ্ছেন বিক্রেতারা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button