মধ্যবিত্তের মুখে হাসি ফোটাতে চলেছে টমেটো, ইঙ্গিত সেদিকেই
টমেটো অনেক বাড়িতেই ঢোকা বন্ধ হয়ে গেছে। টমেটোর দামের ছেঁকা অনেকেরই সহ্য হচ্ছেনা। তবে সেই অবস্থা বোধহয় এবার কাটতে চলেছে।
দেশজুড়ে সবজির দাম এখন রক্তচক্ষু দেখাচ্ছে। সাধারণ মানুষের পক্ষে অনেক সবজিতেই হাত ছোঁয়ানো দায় হয়ে উঠেছে। কোনওক্রমে স্বল্প পরিমাণ কিনে চালিয়ে নিতে হচ্ছে দৈনন্দিন খাওয়াদাওয়া।
লাগামছাড়া টমেটোর দাম দিয়েই এই পরিস্থিতির সূত্রপাত হয়েছিল। এখনও দেশের অনেক প্রান্তেই টমেটোর দাম দেড়শো টাকা কেজি বা তার চেয়েও বেশি।
টমেটোর এই মূল্যবৃদ্ধির জেরে এক মাসের ওপর হাঁসফাঁস করা দেশের সাধারণ মানুষকে রেহাই দেওয়ার জন্য এবার নড়ে চড়ে বসল কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রক ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল কোঅপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশনকে নির্দেশ দিয়েছে যাতে তারা অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রে এবং কর্ণাটক থেকে টমেটো সংগ্রহ করে সেই টমেটো দেশের যে যে প্রান্তে টমেটোর দাম অস্বাভাবিক উচ্চতায় পৌঁছেছে সেখানে সেখানে পৌঁছে দেওয়ার। যাতে সেখানে দাম কমে। সাধারণ মানুষের রান্নাঘরে প্রায় প্রতিদিনের প্রয়োজন টমেটো সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আসতে পারে।
প্রসঙ্গত ভারতের প্রায় সর্বত্রই টমেটো কম বেশি উৎপাদিত হয়। তবে টমেটো সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয় ভারতের দক্ষিণ ও পশ্চিম অংশে। এখান থেকেই দেশের অন্য সব জায়গায় টমেটো পৌঁছে যায়। ফলে দেশে টমেটোর চাহিদা ও যোগানে ভারসাম্য রক্ষিত হয়।
এবার তেমনই ৩টি টমেটো উৎপাদনকারী রাজ্য থেকে উদ্বৃত্ত টমেটো সংগ্রহ করে তা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দিয়ে দামে লাগাম দেওয়ার চেষ্টা শুরু করল কেন্দ্র। তার প্রভাব কতটা সত্যিই সাধারণ মানুষের হেঁশেলে এসে পড়ে আপাতত সেদিকেই চেয়ে সকলে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা