কালীপুজো দীপাবলির আগে সেঞ্চুরির দরজায় পেঁয়াজের দাম
দুর্গাপুজো সবে শেষ হয়েছে। এবার সামনেই কালীপুজো, দীপাবলি, ভাইফোঁটা। তার আগে সেঞ্চুরি হাঁকানোর দরজায় কড়া নাড়ছে পেঁয়াজের দাম।
রেহাই নেই মধ্যবিত্তের। কখনও আলু, তো কখনও টমেটো, কখনও রসুন তো কখনও পেঁয়াজ। আবার কখনও আদা। কোনও একটি বা একাধিক নিত্যপ্রয়োজনীয় এই রান্নার উপকরণের দাম আকাশ ছোঁয়া হয়ে থাকছে। একটা কিছুটা কমছে তো অন্যটা বেড়ে যাচ্ছে। আদার দাম তো চড়াই হয়ে আছে। তা নামার নাম নিচ্ছে না।
যদিও বাজারে নতুন আদা এসে পড়েছে। এরমধ্যেই হুহু করে বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। পেঁয়াজের দাম এখন বাড়তে বাড়তে ৮০ টাকা কেজিতে গিয়ে ঠেকেছে।
অনেক দোকানির দাবি, দু একদিনের মধ্যে যে স্টক আসছে তার দাম ৯০ টাকা কেজি হবে। আর কালীপুজোর আগেই পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা কেজি ছুঁয়ে ফেলতে পারে। ভাইফোঁটা পর্যন্ত দাম কমা দূরে থাক, দাম বাড়তে থাকবে।
কোনও আনাজের দাম বাড়লে সেটা এড়িয়ে অন্য আনাজ কেনা যায়। কিন্তু পেঁয়াজ, আদা, রসুন, আলু, কাঁচা লঙ্কা এগুলো লাগবেই। এগুলি ছাড়া রান্না মুশকিল। আর দেখা যাচ্ছে এগুলির কোনও একটির দাম বা একাধিকের দাম বেড়ে থাকছেই।
এজন্য অনেকে এক শ্রেণির ব্যবসায়ীর দিকেই আঙুল তুলছেন। যাঁরা বাজারে ছদ্ম চাহিদা তৈরি করে দাম বাড়াচ্ছে। এমনই অভিযোগ সামনে আসছে।
যদিও এ রাজ্যে টাস্ক ফোর্সের দাবি, একেই পেঁয়াজের যোগান দেশ জুড়েই কমেছে। তারমধ্যে এখানে উৎসবের মরসুম থাকায় পেঁয়াজের চাহিদাও বেড়েছিল। যার ফলে পেঁয়াজের দাম হুহু করে বাড়ছে।
কারণ যাই হোক কালীপুজো, ভাইফোঁটার মুখে পেঁয়াজের এমন অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি মধ্যবিত্ত থেকে দরিদ্র মানুষের মাথায় হাত ফেলেছে। ১ কেজি পেঁয়াজ যদি ১০০ টাকা দিয়ে কিনতে হয় তাহলে তা ধরাছোঁয়ার বাইরে বলে মেনে নিচ্ছেন সকলেই। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা