কালীপুজোর আগে জবায় হাত ছোঁয়াতে চাইছেন না বঙ্গবাসী, পরিস্কার হল কারণ
সামনেই কালীপুজো। তার আগে এবার চিন্তার কারণ হয়ে গেল রক্তবর্ণ জবা। যা গায়ে হাত ছোঁয়াতেও কুণ্ঠা বোধ করছেন মানুষজন।
সামনেই কালীপুজো। অনেক পুজোর উদ্বোধনও হয়ে গেছে। কিছু প্যান্ডেল বাঁধার কাজ এখনও চলছে। ঠাকুর বিভিন্ন কুমোরপাড়া থেকে প্যান্ডেলমুখী। দুর্গাপুজোর পর নেমে আসা ক্লান্তি ভুলে কার্যত নতুন করে উৎসবের আনন্দে মেতে উঠতে তৈরি এ রাজ্যের মানুষ।
পশ্চিমবঙ্গের বাইরে বিশেষ কালীপুজোর চল নেই। আছে দিওয়ালীর ধুম। এ রাজ্যে কালীপুজো মানুষের উৎসবের আনন্দে বাড়তি পাওনা। আর কালীপুজো মানেই তাতে রক্তবর্ণ জবা ফুলের অবশ্য উপস্থিতি।
এবার দুর্গাপুজোতেও জবাফুলের দাম চড়া ছিল। কিন্তু কালীপুজোর আগে জবার দাম আকাশ ছুঁয়েছে। জবার স্বাভাবিক দামের চেয়ে প্রায় ৫ গুণ বেড়েছে দাম। যার ফলে কালীপুজোয় জবাফুল লাগলেও তাতে হাত ছোঁয়াতে কুণ্ঠা বোধ করছেন মানুষজন। ঘাম ঝরছে দাম শুনে।
সাধারণ সময়ে জবাফুলের দাম পাইকারি বাজারে থাকে ১ হাজার পিস ৪০ থেকে ৬০ টাকা। সেটাই এখন কালীপুজোর মুখে বিক্রি হচ্ছে প্রতি হাজার পিস সাড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়।
এ তো তবু কটা দিন আগের কথা। বিক্রেতারা মনে করছেন এবার যেভাবে জবাফুলের দাম চড়ছে তাতে কালীপুজোর আগের দিন অর্থাৎ শনিবার বা কালীপুজোর দিন অর্থাৎ রবিবার ১ হাজার জবার দাম ১ হাজার টাকা ছুঁয়ে ফেলতে পারে।
মানে ১টি জবা ১ টাকা দিয়ে কিনতে হবে। কিন্তু কেন এমন অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি? ফুল বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, এবার জবাফুল তুলনায় কম ফুটেছে। সেইসঙ্গে আগাম শীত এসে পড়েছে।
এই ২ ফলায় জবাফুল চাষের সঙ্গে যুক্ত কৃষকরা বেশি দামে পাইকারি বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছেন। তাঁরা তার ফলে বেশি দামে খুচরো বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছেন। আর খুচরো বিক্রেতারা ক্রেতাকে লাভ রেখে বিক্রি করছেন। সব মিলিয়ে জবার দমা আকাশ ছুঁয়েছে কালীপুজোয়।