চকোলেট খেতে ভালবাসেন, তাহলে চিন্তা বাড়ল
চকোলেট খেতে ভালবাসেন এমন মানুষের সংখ্যা গুণে শেষ করা যাবেনা। কিন্তু চকোলেট প্রেমীদের জন্য খুব একটা সুখের খবর সামনে এল না।
চকোলেট খেতে ভালবাসেন এমন মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। বাচ্চারা তো বটেই, এমনকি সব বয়সের মানুষের কাছেই চকোলেট এক উপাদেয় খাবার। কেউ মিল্ক চকোলেট তো কেউ ডার্ক চকোলেট পছন্দ করেন। শুধুই কি চকোলেট, চকোলেট স্বাদের কেক, মিল্কশেক, আইসক্রিম, তরল চকোলেট এবং এমন নানা উপায়ে চকোলেটে মজে থাকেন বহু মানুষ।
কিন্তু এবার সেই চকোলেট খাওয়াটা পকেটের জন্য অত আর সহজ হবেনা বলেই মনে করা হচ্ছে। সৌজন্যে চকোলেট তৈরির অন্যতম উপাদান কোকোয়া।
কোকোয়া সবচেয়ে বেশি তৈরি হয় ঘানা সহ পশ্চিম আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে। কোকোয়া সেখানকার অন্যতম অর্থকরী কৃষিজ উপাদান। এই কোকোয়া দিয়েই তৈরি হয় চকোলেট। আর সেই কোকোয়ার দাম এবার লম্বা লাফ দিয়ে বেড়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে কোকোয়ার দাম ১৯৭৮ সালের পর এমন এক উচ্চতা ছুঁয়েছে যে গত ৪৫ বছরে এমন দামের মুখে পড়তে হয়নি ব্যবসায়ীদের। এর কারণ কোকোয়া উৎপাদনে ঘাটতি। আর সেই ঘাটতির কারণ হিসাবে সামনে আসছে জোড়াল এল নিনো প্রভাব।
ইতিমধ্যেই ওরিও সংস্থা জানিয়ে দিয়েছে তারা দাম বাড়াতে চলেছে। অন্য চকোলেট তৈরির সংস্থাগুলি এখনও কোনও ঘোষণা না করলেও চকোলেট প্রেমী মানুষজন প্রমাদ গুনতে শুরু করেছেন।
কারণ একা কোকোয়ার দাম বৃদ্ধিই নয়, আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দামও সর্বকালের রেকর্ড উচ্চতা ছুঁয়েছে। এই জোড়া ফলায় চকোলেটের বর্তমান দাম আর তার নিজের জায়গা ধরে রাখতে পারবেনা এ বিষয়ে অনেকটাই নিশ্চিত বিশেষজ্ঞেরাও। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা