চোখ ধাঁধানো অন্য হিরে বানিয়ে দুনিয়ায় বাজিমাত ভারতের
হিরেকে তার ঝলমলে দ্যুতিতে আলোকিত করে তোলার কাজটা বিশ্বে ভারতই সবচেয়ে ভাল পারে। এবার তারা অন্য হিরেতে বাজিমাত করে দেখিয়ে দিল।
হিরে ভারতে মাটির তলায় খুব বেশি না পাওয়া গেলেও হিরেকে তার চোখ ধাঁধানো ঝলমলে চেহারাটা দেয় ভারতই। ভারত সেই দেশ যেখানে গোটা দুনিয়ার হিরের সিংহভাগ কাটিং অর্থাৎ তাকে কেটে একটি অলংকারের চেহারা দেওয়া এবং পলিশিং অর্থাৎ হিরে বললে যে উজ্জ্বল খণ্ডটি চোখের সামনে ভেসে ওঠে সেই ভেসে ওঠা চেহারার ঝলমলে রূপটা দেওয়া হয়।
এজন্য ভারতের সুরাট বিখ্যাত। ভারত এমন এক দেশ যারা একচেটিয়া এই হিরের কাটিং এবং পলিশিং ব্যবসা ধরে রেখেছে। তবে এখানেই শেষ নয়।
এবার ভারত হিরের দুনিয়ায় আরও একটি ধাপ অগ্রসর হল। যে পথ ভারত দেখাল, আগামী দিনে পৃথিবীর মানুষ হিরে বলতে সেটাই হয়তো বুঝবেন।
ভারতে এখন গবেষণাগারে তৈরি হচ্ছে হিরে। মাটির তলা থেকে হিরে উত্তোলন করার আর দরকার পড়ছে না। এই ল্যাবে তৈরি হিরে আসল হিরের চেয়ে কোনও অংশে কম যাচ্ছেনা।
ভারত যে এই গবেষণাগারে তৈরি হিরের দুনিয়ায় নিজেদের একটা উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছে তা প্রধানমন্ত্রীর কিছুদিন আগের আমেরিকা সফর থেকে পরিস্কার।
সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে হিরেটি মার্কিন প্রেসিডেন্টের স্ত্রী জিল বাইডেনকে উপহার দেন তা ওই গবেষণাগারে তৈরি হিরে। ভারতের গবেষণাগারে তৈরি এবং ভারতেই পলিশিং ও কাটিং করা ওই হিরে উপহার দিয়ে আদপে দুনিয়ার সামনে ভারত তার এই গবেষণাগারে তৈরি হিরের আন্তর্জাতিক মানকেই তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা