অড়হর আর বিউলির ডাল নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র
সাধারণ মানুষের রোজকার খাবার পাতে সাধারণত ডাল থাকেই। অড়হর বা বিউলির ডাল তার অন্যতম। এই ২টি ডাল নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র।
কথায় বলে দরিদ্র মানুষও প্রতিদিন কিছু না হোক ডাল ভাত খেয়ে পেট ভরাতে পারেন। যদিও ডালের ক্রমশ দাম যেভাবে বেড়েছে তাতে সে প্রবাদ যে এখন কতটা বাস্তব তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে। দরিদ্র মানুষের প্রতিদিনের পাতে ডাল, ভাতটুকুও জোটানো কঠিন হচ্ছে।
সাধারণ মানুষের রোজকার পাতেও ডাল এক অবশ্য খাবার। আবার চিকিৎসকেরাও ডাল জাতীয় খাবারে জোর দেওয়ার পরামর্শ দেন অনেক রোগীকে।
সেই ডাল যাতে প্রতিটি পাতে পৌঁছতে পারে সেজন্য বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। মুসুর ডাল নিয়ে সিদ্ধান্তটা আগেই জানিয়েছিল তারা। এবার সেই একই পথে হাঁটল বিউলি এবং অড়হর ডালের ক্ষেত্রেও।
বিউলি ও অড়হর ডালের ওপর কাস্টমস ডিউটি বা বহিঃশুল্ক ২০২১ সাল থেকেই তুলে নিয়েছিল কেন্দ্র। এবার সেই সময়সীমা তারা বর্ধিত করল। ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত তা বর্ধিত করা হয়েছে।
আগে ঠিক ছিল ২০২৪ সালের ৩১ মার্চেই শেষ হবে এই সুযোগ। তা আরও ১ বছর বাড়ানো হল। এতে বিদেশ থেকে বিউলি বা অড়হর ডাল আমদানির ক্ষেত্রে আর বহিঃশুল্ক দিতে হবেনা ব্যবসায়ীদের। ফলে তাঁরা কম দামে সেই ডাল বিক্রি করতে পারবেন। এই সুযোগের কথা মুসুর ডালের ক্ষেত্রে আগেই ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। এবার তা বিউলি ও অড়হরের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য করল।
ভারতে খাদ্য পণ্যে মুদ্রাস্ফীতি চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে। গত নভেম্বরে খাদ্য পণ্যে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৮.৭ শতাংশ। ৩টি ডালের ওপর এই বহিঃশুল্কে ছাড় দিয়ে কেন্দ্র খাদ্য পণ্যে মুদ্রাস্ফীতিতেও লাগাম দেওয়ার চেষ্টা করছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা