একেই বলে উলট পুরাণ, মাছ মাংস খাওয়া সংসারের খরচ কমল
যে পরিবারে চুটিয়ে মাছ, মাংস, ডিম খাওয়া হয়, সেসব পরিবারের খাবার খরচ কমেছে। এমনই এক উলট পুরাণ সামনে এল তথ্য হাতে নিয়ে।
অনেক পরিবার নিরামিষাশী। তারা বাড়িতে মাছ, মাংস, ডিম আনে না। খায়ও না। নিরামিষ খাওয়াদাওয়ার ওপরই জীবনযাপন করে। আবার এমনও অনেক পরিবার রয়েছে যাদের দৈনন্দিন পাতে মাছ, মাংস, ডিম না হলে চলেনা। এটা প্রচলিত ধারনা যে আমিষ খেতে অভ্যস্ত পরিবারে খরচ বেশি হয়। কারণ শাক, সবজিতে অত খরচ হয়না, যতটা মাছ, মাংস কিনে তা রান্না করতে হয়।
কিন্তু ভারতের জানুয়ারির খতিয়ান মানুষের হিসাব সব উল্টে দিয়েছে। তথ্য বলছে ভারতে নিরামিষ খায় এমন পরিবারে খরচ জানুয়ারিতে বেড়েছে।
গত বছরের জানুয়ারির তুলনায় ৫ শতাংশ বেড়েছে খরচ। অন্যদিকে আমিষ না খেয়ে থাকতে পারেনা এমন পরিবারের খাওয়ার খরচ ১৩ শতাংশ কমেছে জানুয়ারি মাসে।
কেন এমন উলট পুরাণ? বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, জানুয়ারিতে পেঁয়াজ, টমেটো, ডাল ও চালের দাম চড়ে থাকায় তার প্রভাব পড়েছে হেঁশেলে। নিরামিষ যাঁরা খান তাঁদের এগুলো লাগবেই।
ডাল, পেঁয়াজ, টমেটোর মত আবশ্যিক উপাদানের দাম বেড়ে থাকাটা প্রতি পরিবারের দৈনন্দিন পাতের খরচ বাড়িয়ে দিয়েছে। পেঁয়াজের দাম ৩৫ শতাংশ, টমেটোর দাম ২০ শতাংশ, ডালের দাম ৯ শতাংশ ও চালের দাম ১২ শতাংশ বেড়েছে জানুয়ারিতে।
ফলে তার খরচ সরাসরি সাধারণ মানুষের প্রতিদিনের খাবার পাতে পড়েছে। অন্যদিকে আমিষের দাম তুলনায় কমেছে। বিশেষত মুরগির মাংসের দাম ২৬ শতাংশ কমেছে।
যার প্রভাবে আমিষ খেতে অভ্যস্ত পরিবারের দৈনন্দিন খরচ কমেছে জানুয়ারি মাসে। বাজার পর্যালোচনা সংস্থা ক্রিসিল এই তথ্য সামনে এনেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা