বাজারে পেঁয়াজ না পাওয়া গেলে কি হবে, আগাম সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র
পেঁয়াজ আম দেশবাসীর নিত্যদিনের খাওয়ার সঙ্গে জড়িয়ে আছে। তাই তার ঘাটতি সরকারেরও চিন্তার কারণ হয়ে যায়। এবার পেঁয়াজ নিয়ে তাই দূরদর্শী নির্দেশের পথে হাঁটল কেন্দ্র।
সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন পাতে পেঁয়াজ এসেই পড়ে। সে রান্নাতে দিয়েই হোক বা কাঁচা পেঁয়াজের টুকরো। আমজনতার তাই পেঁয়াজের দাম বাড়লে বা বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি হলে মাথায় হাত পড়ে যায়।
আলু, টমেটো, পেঁয়াজ, আদা, রসুন এসব তো সাধারণ মানুষের হেঁশেলে অতি অবশ্যই মজুত থাকে। দেশের মানুষের এই পেঁয়াজের প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে এবং অতীতের খারাপ অভিজ্ঞতাকে সামনে রেখে এবার আগে ভাগেই তৈরি থাকতে চাইছে কেন্দ্র।
পেঁয়াজ এখন মাঠ থেকে ঘরে ওঠা শুরু হয়ে গেছে। রবি ফসল হিসাবে পরিচিত পেঁয়াজের যোগান তাই এখন বাজারে যথেষ্ট রয়েছে। এই সময়টাকেই কাজে লাগাতে চাইছে কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রকের তরফে তাই এনসিসিএফ এবং এনএএফইডি-কে ৫ লক্ষ টন পেঁয়াজ কিনে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে পেঁয়াজ কিনতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এতে আপৎকালীন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মত মজুত থাকবে। যদি বছরের কোনও সময়ে বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি দেখা যায় তাহলে এই মজুত পেঁয়াজের সাহায্যে সেই ধাক্কা সামাল দেওয়া যাবে।
এদিকে যে কৃষকদের থেকে এই ৫ লক্ষ টন পেঁয়াজ কেনা হবে, তাঁদের বিস্তারিত তালিকাও প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। তাঁদের পেঁয়াজের দাম তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
এতে কৃষকরাও ন্যায্য দাম পাবেন এবং দেশের মানুষও নিশ্চিন্ত হতে পারবেন। পেঁয়াজের ঘাটতি দেখা দিলে মজুত ভাণ্ডারে যথেষ্ট পেঁয়াজ মজুত আছে এটা একটা বড় ভরসা হয়ে থাকবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা