Business

আর গোল নয়, এবার বাজার ছেয়ে যাবে চৌকো তরমুজে

প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে গোল বা প্রায় গোলাকার তরমুজ খেয়েই অভ্যস্ত মানুষ। কিন্তু এবার সেই অভ্যাস বদলানোর সময় এসেছে। এবার খেতে হবে চৌকো তরমুজ।

তরমুজ সারা বিশ্বেই যথেষ্ট সমাদৃত। সবচেয়ে বেশি পছন্দের গরমের দেশের মানুষদের কাছে। প্রাণ জুড়িয়ে দেওয়া তরমুজের রস গরমের প্রবল দাবদাহ থেকে শরীরকে আরাম দেয়। তাই গরমে তরমুজ খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে।

পশ্চিমবঙ্গের বাজারেও প্রচুর তরমুজ ছেয়ে গেছে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মানুষ যে তরমুজের সঙ্গে পরিচিত তার উপরটা সবুজ, শাঁসটা লাল। কিছু তরমুজ বা অনেকে যাকে খরমুজও বলে থাকেন, সেগুলি হয় হালকা সবুজের ওপর গাঢ় সবুজের ডোরা দাগের।


তরমুজ হোক বা খরমুজ, সবই হয় প্রায় গোলাকার। সেটা দেখেই অভ্যস্ত সকলে। কিন্তু এবার সেই অভ্যাস বদলানোর সময় এসেছে। কারণ বাজারে এসে পড়েছে চৌকো তরমুজ।

একদম চৌকো এবং কিছু ছোট আকারের এই তরমুজ কিন্তু খেতে আলাদা নয়। এগুলো তরমুজই। কেবল চেহারাটা যা আলাদা। গোলাকার দেখে অভ্যস্ত সাধারণ মানুষের কাছে তাই এই চৌকো তরমুজ কিন্তু রহস্যময়, কিছুটা সন্দেহের।


তবে এগুলি কিন্তু কোনও অংশে চেনা তরমুজের গুণাগুণের চেয়ে কম নয়, বরং এতে মিষ্টি ভাব বেশিই থাকে। এদের বলা হয় সরস্বতী তরমুজ।

চৌকো তরমুজ অবশ্য একধরনের হাইব্রিড তরমুজ। যা উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ এবং ফতেপুর এলাকার কৃষকরা প্রচুর পরিমাণে চাষ করছেন। নাম দেওয়া হয়েছে সরস্বতী তরমুজ।

এগুলির উপরিভাগ হালকা সবুজের ওপর ডোরা হতে পারে বা হলুদের ওপর ডোরা হতে পারে। চেহারা চৌকো। ভিতরটা লালই। আর খেতে একই।

কিন্তু চেনা তরমুজ ছেড়ে বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি এই সরস্বতী তরমুজের দিকে মন গেল কেন কৃষকদের? কৃষকরা জানাচ্ছেন, এই চৌকো তরমুজ বা খরমুজ তাঁদের আরও বেশি মুনাফার মুখ দেখাচ্ছে। আপাতত উত্তরপ্রদেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকলেও তা অন্যান্য রাজ্যে ছড়িয়ে পড়া এখন সময়ের অপেক্ষা।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button